এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
লন্ডনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্বগুলি তুলে ধরলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সফরে তিনি এক দিকে, ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সে দেশের শর্তগুলি লঘু করার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে, সাংস্কৃতিক, ক্রিকেট ও হিন্দুত্বের কূটনীতিতেও সমান দিচ্ছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর।
এ বার দীপাবলি লন্ডনে কাটালেন বিদেশমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ঘরোয়া মঞ্চ থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদী সরকারের কৃতিত্বগুলিকে তুলে ধরেছেন। গত কাল দীপাবলি উপলক্ষে সস্ত্রীক স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি, সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর পোস্ট, ‘সকলকে শুভ দীপাবলি। এই পবিত্র উৎসবে নিজের মানুষজনের সঙ্গে থাকার মতো আনন্দের কিছু হয় না। ব্রিটেন সফরে এসে স্বাভাবিক ভাবেই সুযোগ খুঁজছিলাম নিজেদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর’। এরপর মোদী সরকারের কৃতিত্বের বর্ণনা করে জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টা করে সপ্তাহে সাত দিন কাজ করে চলেছে। আমরা সবাই এটা জানি। দীপাবলির দিন ঋষি সুনকের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠক করলাম। ব্রিটেন এবং ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কথা হল’। বিদেশমন্ত্রীর সংযোজন, ‘ভারত যে কতটা বদলেছে আমি তার সাক্ষী। দেশের ভিতরে আমরা সবাই যা করছি তার মাধ্যমে ভারতের একটা ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে। অন্য দিকটি হল, আপনারা রোজ যা করছেন’। প্রবাসীদের সামনে জি২০-তে ভারতের সফল সভাপতিত্বের কথাও বলেছেন জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, ‘ভারত এখন সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বৃহৎ এক অর্থনীতি। নেতৃত্ব রয়েছে, দূরদর্শিতা রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে সুশাসন’।
প্রসঙ্গত, স্বামীনারায়ণ মন্দির পরিদর্শনের আগে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে দেখা করেন সস্ত্রীক জয়শংকর। চা-চক্রে মিলিত হন তারা। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি দীপাবলি উপলক্ষে সুনককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছার কথা জানান। তাঁদের আতিথেয়তা তাঁকে মুগ্ধ করেছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তাঁর পাঁচ দিনের ব্রিটেন সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিকের সূচনা হবে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেছেন। টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার পরিস্থিতি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy