পূর্বাভাস ছিল জিডিপি হার ৬-৭ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু সব হিসাব বদলে দিয়ে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির গতি ঊর্ধ্বমুখীই। ওই তিন মাসে জিডিপি হার দাঁড়াল ৭.৮ শতাংশে। যার অধিকাংশই এসেছে পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে।
ঘটনাচক্রে, এই সময়েই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের শুল্কযুদ্ধ চরমে উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বুধবার থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত দেশের বণিক সংগঠনগুলি। সেই আবহে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল।
সম্প্রতি ভারতের উপরে শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করতে গিয়ে এ দেশের অর্থনীতি ‘মৃত’ বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত, কোনও অর্থনীতি মৃত হলে সেই দেশ ৭% হারে আর্থিক বৃদ্ধির মুখ দেখে না।
যদিও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে ভারতীয় অর্থনীতিতে, তা এই রিপোর্ট দেখে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ এই রিপোর্ট এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
তবে অর্থনৈতিক মহলের বক্তব্য, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তাতে ভারতীয় অর্থনীতির উপর মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাব বোঝা যাবে। অনেকের আশঙ্কা, এতে ভারতীয় অর্থনীতি কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে। মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়ের আশঙ্কা, চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ঠেকতে পারে ৬ শতাংশে। যা সংস্থার আগের পূর্বাভাসের (৬.৩%) তুলনায় ৩০ বেসিস পয়েন্ট কম। যদিও দেশের অভ্যন্তরের চাহিদা ও পরিষেবায় অগ্রগতি অর্থনীতিকে সামলাতে সাহায্য করবে বলেও জানাচ্ছে তারা।