Advertisement
E-Paper

নেপালের ছাত্র-যুব বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুলল ভারত, সে দেশে থাকা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ, আর কী বলল নয়াদিল্লি

মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে নেপালে বসবাস করা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৫
ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।

ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। ছবি: রয়টার্স।

ছাত্র-যুবদের বিদ্রোহে উত্তাল নেপাল। এই আবহে পড়শি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে নেপালে বসবাস করা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নেপালকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী’ বলে উল্লেখ করে সোমবারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে ভারত আশাবাদী।

ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা গত কাল থেকে নেপালের পরিস্থিতির উপর নিবিড় ভাবে নজর রেখেছি। বহু তরতাজা প্রাণের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে দুঃখিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে নয়াদিল্লির বার্তায় বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডু এবং আরও কয়েকটি শহরে কার্ফু জারি করেছেন। নেপালে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং নেপাল প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হচ্ছে।”

সম্প্রতি নেপাল সরকার ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপ, এক্স-সহ ২৬টি সমাজমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে প্রতিবাদে নামেন ছাত্র-যুবরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ পুলিশ-প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায়। নিয়ন্ত্রণ করতে শূন্যে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ছোড়া হয় রবারের গুলিও। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ শূন্যে নয়, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। কারও গায়ে লেগেছে, কারও হাতে, আবার কারও মাথায়। সোমবার রাত (ভারতীয় সময়) পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা ১৯। হুড়োহুড়ি, ধস্তাধস্তি, পুলিশের গুলি, লাঠিতে আহতের সংখ্যাও অনেক। ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫০ জনের বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তবে শুধু সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞাই নয়, সোমবারের বিক্ষোভের নেপথ্যে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ রয়েছে বলেই মনে করছেন সে দেশের অনেকে। কারণ নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। দেশে আর্থিক বৈষম্য নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছিল ছাত্র-যুবদের মধ্যে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবার।

Nepal Kathmandu KP Sharma Oli
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy