বাংলাদেশের আকাশসীমায়, ৩৮ হাজার ফুট উঁচুতে এয়ার পকেটে পড়ে মুম্বই থেকে গুয়াহাটিগামী একটি বিমান আচমকাই ৩০০ ফুট উপরে উঠে যায়, পরমুহূর্তেই সেটি ফের আড়াইশো ফুট নীচে নেমে আসে। উচ্চতা বিভ্রাটে কাছাকাছি এসে পড়েছিল ইন্ডিগোর গুয়াহাটি থেকে চেন্নাইগামী একটি বিমানও। তবে পাইলটদের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।
মুম্বই-গুয়াহাটি বিমানের এমন ওঠানামার ধাক্কায়, মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে পড়ে গিয়ে জখম হন দুই এয়ার হোস্টেস। সিট বেল্ট বাঁধা না থাকায় পাশের আসনে ধাক্কা খেয়ে সামান্য জখম হন চার যাত্রী। অনেকের শ্বাসকষ্ট বা বমিভাব হয়েছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়ের পাশে অ্যাম্বুলেন্স তলব করা হয়েছিল। বিমানটি স্বাভাবিক ভাবেই অবতরণ করে। জখমদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছে়ড়ে দেওয়া হয়।
ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, গত কাল সন্ধ্যায় তাদের ‘৬ই-৮১৩’ উড়ানটি মুম্বই থেকে গুয়াহাটির দিকে আসছিল। অন্য দিকে, গুয়াহাটি থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল তাদেরই ‘৬ই-১৩৬’ উড়ানটি। ঢাকা এয়ারস্পেসের অধীনে, গুয়াহাটির দিকে ঢোকার মুখে
হঠাৎ করে দু’টি বিমানই এয়ার পকেটে পড়ে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অধিকর্তা অনিল শর্মা জানান, ওই সময় গুয়াহাটিগামী বিমানটি প্রায় ৩৭ হাজার ফুট ও চেন্নাইগামী বিমানটি প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। অবশ্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং বিমানের ‘ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম’-এর সহায়তায় পাইলটরা দু’টি বিমানের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সমর্থ হন।
ইন্ডিগোর বক্তব্য, বর্ষার আকাশে দু’ধরণের অশান্ত আবহাওয়া দেখা দেয়। এর মধ্যে বজ্রগর্ভ মেঘ থাকা ‘কিউমুলো নিম্বাস অ্যাক্টিভিটি’ নিয়ে রাডার ও এটিসি আগাম সতর্কতা দেয়।
কিন্তু পরিষ্কার আকাশে হঠাৎ হওয়া ‘ক্লিয়ার এয়ার টারবুলেন্স’ নিয়ে রাডার আগাম সতর্কতা দিতে পারে না। গত কাল সেই ঘটনাই ঘটেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy