তুরস্কের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ইন্ডিগো! কেন্দ্রের নির্দেশের পরই এমন সিদ্ধান্ত নিল এই ভারতীয় বিমান সংস্থাটি। আগামী তিন মাসের মধ্যেই তুর্কির বিমান সংস্থার সঙ্গে ‘লিজ়’ চুক্তি বাতিল করছে ইন্ডিগো। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় ভারতের। পাকিস্তানকে সমর্থন জানানোয় তুরস্কের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ রাখতে শুরু করে ভারত। সেই আবহে একাধিক সিদ্ধান্তও নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ বার ইন্ডিগোকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
ইন্ডিগো তুরস্কের বিমান সংস্থা থেকে দু’টি বোয়িং ৭৭৭ ‘লিজ়’ নিয়েছিল। সেই বিমান এত দিন চালাচ্ছিল ইন্ডিগো। ৩১ মে পর্যন্ত ওই দুই বিমান পরিচালনার অনুমতি ছিল। তবে সেই অনুমোদন আরও ছ’মাসের জন্য বৃদ্ধি করার জন্য ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিল ইন্ডিগো। কিন্তু এত দিন অনুমোদন বৃদ্ধিতে রাজি নয় কেন্দ্র।
মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধা এড়াতে ইন্ডিগোকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিমান সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতেই তিন মাস সময় বৃদ্ধি করা করছে কেন্দ্র। এটাই চূড়ান্ত। এর পরে আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না। তার মধ্যেই ‘লিজ়’ চুক্তি বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইন্ডিগোকে।
ইন্ডিগোর ৪০০টি বিমানের মধ্যে মাত্র দু’টি তুরস্কের এয়ারলাইন্স থেকে ‘লিজ়’ নেওয়া। তবে প্রয়োজনে এই চুক্তি বাতিল হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা সরকারের নিয়ম মেনে কাজ করি। তবে আপাতত আমরা আমাদের পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি সরকার নিয়ম পরিবর্তন করে, আমরা অবশ্যই তা অনুসরণ করব।’’ তার পরেই কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশ আসে।
ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘাতের আবহে তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করে বলে অভিযোগ। তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরপরই গত ১৫ মে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্কের সংস্থা সেলেবির কাজের অনুমতি বাতিল করে দেয় নয়াদিল্লি। বাতিল করা হয় তাদের ‘সুরক্ষার ছাড়পত্র’। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই আবহেই এ বার তুরস্কের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইন্ডিগো।