Advertisement
E-Paper

এফআইআরের অনুমতি ইন্দ্রাণীকে

ইন্দ্রাণী আজ পাল্টা অভিযোগে জানালেন, তিনি সাক্ষ্য দিতে চান জেনেই জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিগ্রহের হুমকি দেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘জেল সুপার জেলের ভিতরের আলো নিভিয়ে লাঠি চালানোর নির্দেশ দেন।’’ এই সময়ে কিছু পুরুষ আধিকারিক এসেও বন্দিদের মারধর করে বলে ইন্দ্রাণীর দাবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:৩১
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।

ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।

বন্দিমৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে চাওয়ায় জেলে তাঁকে নিগ্রহের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।

বুধবার বিশেষ সিবিআই আদালত বাইকুল্লা জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শিনা বরা খুনের মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীকে অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইন্দ্রাণী। তাঁর অভিযোগ, জেল আধিকারিকদের নৃশংস নির্যাতনেই সম্প্রতি মারা গিয়েছেন বন্দিনী মঞ্জু গোবিন্দ শেট্টে। তারই প্রতিবাদ করায় জেলে হাঙ্গামা বাধানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইন্দ্রাণী-সহ দু’শো বন্দিনীর বিরুদ্ধে।

ইন্দ্রাণী আজ পাল্টা অভিযোগে জানালেন, তিনি সাক্ষ্য দিতে চান জেনেই জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিগ্রহের হুমকি দেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘জেল সুপার জেলের ভিতরের আলো নিভিয়ে লাঠি চালানোর নির্দেশ দেন।’’ এই সময়ে কিছু পুরুষ আধিকারিক এসেও বন্দিদের মারধর করে বলে ইন্দ্রাণীর দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার হাত-পায়ে এত মারা হয়েছে যে হাঁটতে অসুবিধে হচ্ছে।’’ ইন্দ্রাণীর বক্তব্য অনুযায়ী, এর পরে সুপার তাঁকে বলেন ‘‘সাক্ষী হবি! মঞ্জুর সঙ্গে যা হয়েছে, তা-ই করব তোর সঙ্গে।’’

এ দিন বেলা একটা নাগাদ সবুজ সালোয়ারে টানটান করে চুল বেঁধে সিবিআই আদালতে হাজির হন ইন্দ্রাণী। দশ মিনিট পরে কাঠগড়ায় ওঠার পরে বিশেষ সিবিআই বিচারক জে সি জগদালে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কিছু বলতে চান কি না। এর পরেই বাইকুল্লা জেলে তাঁকে কী ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তার বর্ণনা দেন প্রাক্তন মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘‘শুক্রবার আমি দেখেছিলাম মঞ্জুর চুল ধরে এবং গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে জেল আধিকারিকরা হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে ঘটেছিল ঘটনাটা। পরে আমি যখন খেয়ে ফিরছিলাম একটা দরজার ফুটো দিয়ে ওকে দেখতে পাই। শুনতে পেলাম মহিলা জেল আধিকারিকরা ওর গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতন করেছেন। তার পরে পুরুষ পুলিশ অফিসার এলেন। মঞ্জুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। আমার ব্যারাকের মহিলা রক্ষীকে (বিন্দু মাকাড়ে নামে এই রক্ষীও বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত) জিজ্ঞেস করেছিলাম, মঞ্জু কেমন আছে? উনি বললেন, ওর অবস্থা স্থিতিশীল। পরে শুনলাম হাসপাতালে মঞ্জু মারা গিয়েছে।’’

বিচারক বলেন, ইন্দ্রাণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হোক ইন্দ্রাণীর আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, উনি কি এফআইআর করবেন? ইন্দ্রাণী ‘হ্যাঁ’ বলায় বিচারক তাঁকে অভিযোগ দায়েরের জন্য নাগপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিনই মঞ্জুর মৃত্যুর মামলার দায়িত্ব নিয়েছে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। জেলের ছয় আধিকারিক বরখাস্ত হয়েছেন। রুজু হয়েছে খুনের মামলাও।

Indrani Mukerjea Byculla Jail violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy