দিন কয়েক আগে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বিধি দাবি করেছিলেন, রাহুলকে বিশেষ পছন্দ করতেন না তাঁর মা। আর ২০১৪ সালের নভেম্বরে স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে পাঠানো ইন্দ্রাণীর একটি ই-মেলে ফের মিলল সেই একই তথ্য। সেখানে ইন্দ্রাণী নিজেই লিখেছেন, পিটারের প্রথম পক্ষের সন্তান রাহুলকে সহ্য করতে পারতেন না তিনি। তবে রাহুলের ভাই রবিনকে নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না ইন্দ্রাণীর। এই মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে, সেখান থেকেই মিলেছে এই তথ্য।
কী রয়েছে ই-মেলটিতে? ইন্দ্রাণী তাতে লিখেছেন, ‘‘আমি কখনও তোমায় রবিনকে ফোন বা মেল বা চ্যাট করতে বারণ করেছি বলে মনে করতে পারছি না। এই রকম কোনও চিন্তা আমার মাথাতেও আসেনি। বুঝতে পারছি না, তোমার মাথায় কেন এই কথাটা এলো?’’ মেলে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘রবিন এখনও রাহুলের মতো বাড়াবাড়ি শুরু করেনি। ওর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার কথা কে বলছে এবং কেন?’’
এই মেলটির ভিত্তিতে সিবিআই মনে করছে, শিনা এবং রাহুলের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পিটার বা ইন্দ্রাণী কেউই। ২০১২ সালে শিনা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকেই রাহুল খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন। শিনার আচমকা নিরুদ্দেশ হওয়ার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও মনে হয়েছিল তাঁর। বাবা পিটারকে পাঠানো একাধিক ই-মেলে সে কথা জানিয়েওছিলেন রাহুল। সিবিআইয়ের মত, এই কারণেই হয়তো রাহুলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখার পক্ষপাতী ছিলেন না ইন্দ্রাণী।
এর মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত প্রধান সচিব কে পি বকশি জানিয়েছেন, শিনা বরা মামলায় রায়গড় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি কারণ পূর্বতন ডিজিপি সঞ্জীব দয়ালের জমা দেওয়া রিপোর্ট অস্পষ্ট ছিল। তাতে পুলিশের তরফে গাফিলতির কথা স্পষ্ট বলা ছিল না। পুলিশ কেন নিজেদের তদন্ত নিজেরা শেষ করতে পারবে না? সব আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy