ভারতে তাদের পরিষেবা কারা নিয়েছে, জানতে চেয়ে ব্রিটিশ সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে নোটিস পাঠাল নরেন্দ্র মোদী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। ৩১ মার্চের মধ্যে নোটিসের জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক থেকে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের তথ্য হাতানোর দায়ে অভিযুক্ত সংস্থাটিকে ছ’দফা প্রশ্ন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। প্রশ্নগুলি এ রকম— ১) এমন কোনও কাজ তারা নিয়েছে কি না, যেখানে ভারতীয়দের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করা হবে, ২) সে ক্ষেত্রে কারা তাদের কাজ দিয়েছে, ৩) কী ভাবে তারা তথ্য হাতে পেয়েছে, ৪) যাঁদের তথ্য নেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কি না, ৫) সংগৃহীত তথ্য কী ভাবে ব্যবহার হয়েছে এবং ৬) সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয়পঞ্জি তৈরি করা হয়েছে কি না।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের অন্তর্গত ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি-ইন) ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে একটি সতর্কবার্তাও জারি করেছে আজ। তাতে বলা হয়েছে, কেউ যেন সোশ্যাল সাইটে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান-সহ একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ না করেন।
এই তৎপরতা সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আজও কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রকে। টুইটারে রাহুল দাবি করেন, বিজেপি জানতে পেরেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে তাদের নাম জড়াবে। তাই আগেভাগেই কংগ্রেস জড়িত বলে ‘ভুয়ো’ খবর ছড়িয়েছে তারা।
গত কাল ঠিক যেখানে বাগ্যুদ্ধ থামিয়েছিলেন তিনি, সেখান থেকেই আজ শুরু করে রাহুল অভিযোগ করেন, আসল খবরকে ‘ভ্যানিশ’ করে দিতেই এই কাজ করেছে বিজেপি। তিনি লেখেন, ‘বিজেপি তো মিথ্যের কারখানা: ২০১২ সালে ওরা যে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে টাকাপয়সা দিয়ে কংগ্রেসের ভিতরে ঢুকিয়ে অন্তর্ঘাত করেছিল, সাংবাদিকেরা সে খবরটা ফাঁস করে দিচ্ছিলেন। বিজেপি তাই তড়িঘড়ি তাদের মন্ত্রীকে দিয়ে বলাল আর খবরের মোড় ঘুরিয়ে দিল: কংগ্রেস (নাকি) ব্যবহার করেছে সিএ-কে!’
ইতিমধ্যে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ভারতীয় শাখার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অবনীশ রাই একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে হারাতে সম্ভবত অ্যালেকজান্ডর নিক্সের (কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাসপেন্ড হওয়া সিইও) সঙ্গে আঁতাঁত করেছিল বিজেপি।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস, দু’দলই পরস্পরকে দুষে চলেছে। কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রথম দাবি করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে ওই সংস্থার মাখামাখি রয়েছে। জবাবে কংগ্রেস বলে, ইরাকে ৩৯ জন ভারতীয়ের মৃত্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এই প্রসঙ্গটি তোলার কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাবত আজ জানান, নতুন ভোটারদের বুথমুখী করতে তাঁরা ফেসবুকের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই যৌথ উদ্যোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy