জেলের কুঠুরিতে টিভি দেখছেন, খাচ্ছেন পছন্দের খাবার, রয়েছে মোবাইলও! বেঙ্গালুরুর কারাগারে আরামে বন্দিরা

কারাগারে কুঠুরিতে বসানো টিভি! আরামে বিছানায় শুয়ে সেই টিভি দেখছেন বন্দি। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনে ঘন ঘন মোবাইল কানে লাগিয়ে কারও না কারও সঙ্গে কথা বলছেন! জেলের মধ্যে বন্দিদের ‘বিলাসবহুল’ জীবন কাটানোর ভিডিয়ো ভাইরাল (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) হতেই শোরগোল পড়ে। প্রশ্নের মুখে বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগরাহারা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কারা বিভাগের ডিজি বি দয়ানন্দ।

বিতর্কের সূত্রপাত দুই বন্দির জেলজীবনকে কেন্দ্র করে। তরুণ কোন্ডারু রাজু এবং উমেশ রেড্ডি। অভিযোগ, জেলের কুঠুরির মধ্যে সব রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন তাঁরা। বার বার ভেঙেছেন জেলের নিয়ম। তরুণের কুঠুরিতে রয়েছে মোবাইল এবং টিভি। সূত্রের খবর, একই রকম সুবিধা পান উমেশও। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তিনি জেলের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করছেন। একটা নয়, আবার দু’টি ফোন রয়েছে তাঁর কাছে। জেল সূত্রে খবর, তাঁর কুঠুরিতেও রয়েছে টিভি। পাশাপাশি, তাঁর পছন্দের খাবার দেওয়ার হয় উমেশকে।

গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে ১৪কেজি সোনা-সহ ধরা পড়েন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। সেই সোনার বাজারদর ছিল সাড়ে ১২ কোটি টাকা। রান্যার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নগদ আড়াই কোটি টাকা এবং দু’কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়। সেই সোনা পাচার মামলায় নাম জড়ায় তরুণের। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করে সোনা পাচার করতেন রান্যা।

অন্য দিকে, উমেশের বিরুদ্ধে রয়েছে হেনস্থার একাধিক অভিযোগ। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশেই জেল খাটছেন তিনি। তবে জেলে থাকলেও আরামের জীবনই কাটাছেন উমেশ। অন্তত ভাইরাল ভিডিয়োয় মিলেছে তারই প্রমাণ!