শ্রীনগরের আশপাশে পর্যটকদের নিশানা করতে পারে জঙ্গিরা। পহেলগাঁও হামলার আগে সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। আর সেই সতর্কবার্তা পেয়েই শ্রীনগর এবং তার আশপাশে ডাচিগাম, নিশাত এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
এই এলাকাগুলিতে গত বছরের অক্টোবরে জঙ্গি হামলা হয়। ফলে সম্ভাব্য হানার আশঙ্কা করেই ওই এলাকায় এবং হোটেলগুলিতেও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে গঙ্গনগীর এবং সোনামার্গে জঙ্গি হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়। তাই জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা পেয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
জম্মু-কাশ্মীরে অনেক দিন ধরেই জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছিল সেনা। পহেলগাঁও হামলার আগে গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা আসার পর শ্রীনগর এবং তার আশপাশের এলাকাগুলিতেও অভিযান চালায় পুলিশ এবং সেনা। কিন্তু সে রকম কোনও সন্দেহজনক কিছু না পাওয়া যাওয়ায় ২২ এপ্রিল তল্লাশি অভিযান বন্ধ করা হয়। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ২৫ জন ভারতীয় এবং নেপালের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
পহেলগাঁওয়ের হামলার ঘটনাকে গোয়েন্দা ‘ব্যর্থতা’ বলে দাবি করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের এখনও হদিস পাননি তদন্তকারীরা। তবে গোয়েন্দারা মনে করছেন, দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি জঙ্গলে আত্মগোপন করে আছে জঙ্গিরা।