ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে কোন্দলের জেরে ভূপেশ বঘেল ও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাটি এস সিংহদেও সম্প্রতি দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের জন্য। এ বার কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট কর্নাটকেও। ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে ডি কে শিবকুমারের দ্বন্দ্ব।
২০১৯ সালে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে দুই শিবিরের ‘লড়াই’য়ে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। তবে আগামী বছর বিধানসভার ভোটের প্রেক্ষিতে ফের চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে দুই শিবিরে। এ বার শিবকুমার নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে মরিয়া। সেই নিয়েই সংঘাত দানা বাঁধছে বলে সূত্রের খবর। এর আগে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে খারাপ ফলের পরে জেডিএসের সঙ্গে জোটের কৌশল নেয় কংগ্রেস। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী হন জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামী। তবে কংগ্রেস-জেডিএস ক্ষমতা খোয়ানোর পরে দলে শিবকুমারের প্রভাব আরও বাড়ে। রাজ্য প্রদেশ সভাপতিও হন তিনি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর মসনদকেই পাখির চোখ করেছেন ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের এই প্রভাবশালী নেতা।
যদিও সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ জ়ামির আহমেদ জানিয়েছেন, কোনও একটি সম্প্রদায়ের ভোটে কেউই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।প্রসঙ্গত, আগামী ৩ অগস্ট সিদ্দারামাইয়ার ৭৫ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাঁর অনুগামীরা।এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য, নিজেদের প্রভাব সম্পূর্ণ ভাবেতুলে ধরা।
তবে কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত খুশির ছোঁয়া পদ্ম শিবিরে। বিজেপি নেতা তথা রাজস্বমন্ত্রী আর অশোক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কর্নাটকেও কংগ্রেসের হাল হবে পঞ্জাবের মতোই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy