বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে বসে রাহুল গান্ধীর সামনে প্রার্থী তালিকায় টিকিট বিক্রি, দলের বাইরের লোকেদের প্রার্থী করা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও অভ্যন্তরীণ কলহের কথা উঠে এল। মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে বিহারের কংগ্রেসের নেতারা দলের সদর দফতর ইন্দিরা ভবনের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে বিবাদ, গালাগালিতে জড়িয়ে পড়লেন।
বৈঠকের আগে যখন কংগ্রেস নেতারা অপেক্ষা করছিলেন, সে সময় বৈশালীর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব অভিযোগ তোলেন, দলের বাইরের লোকেদের নিয়ে এসে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাতে আপত্তি তোলেন পূর্ণিয়ার পাপ্পু যাদবের ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্র কুমার। সঞ্জীব তাঁর দিকে আঙুলের মুদ্রায় বন্দুকের ভঙ্গি করে বলেন, ‘‘এ সব লোককে গুলি করে মারা উচিত।’’ বৈঠক শুরু হতে রাহুল, খড়্গের কাছে এই খবর পৌঁছলে তাঁরা জানান, এই সব শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না।
বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে ৬১ জন প্রার্থীকেই ডাকা হয়েছিল। বিহারের পর্যবেক্ষক কৃষ্ণ আল্লাভুরু ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রামকে বাইরে রেখে রাহুলরা দশ জন, দশ জন করে আলাদা ভাবে কথা বলেন। সূত্রের খবর, রাহুল জানতে চান, আরজেডি-র সঙ্গে জোট রাখা উচিত কি না। একাধিক নেতা ‘একলা চলো’-র পক্ষে রায় দেন। কিছু নেতা বলেন, আরজেডি ‘মারি সিক্সার কি ছে গোলি ছাতি মে’ গান নিয়ে প্রচার করায় ক্ষতি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী জনসভায় সেই গানকে আরজেডি-র ‘জঙ্গলরাজের’ প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। বৈঠকের পরে আল্লাভুরু বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি ভোট চুরি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া না মেনে টাকা বিলি নিয়ে দলে আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভবিষ্যতের রূপরেখা ঠিক হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)