জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশের পরেই সামনে এল মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। ফলে সাংগঠনিক রদবদল এখন ওই রাজ্যে কংগ্রেসের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ।
দ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি রাঘোগড়ে। সেখানে গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের ছেলে জয়বর্ধন সিংহ। সূত্রের খবর, গুণা জেলার সভাপতি জয়বর্ধনকে কোণঠাসা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর সমর্থকেরা। ফলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারির কুশপুত্তলিকা দহন করেন তাঁরা। দেন স্লোগানও।
অন্য দিকে ভোপালে প্রবীণ সাক্সেনার জেলা সভাপতি পদে পুনর্নিয়োগে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সমাজমাধ্যমে সরাসরি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি এবং ওই পদের দাবিদার মনু সাক্সেনা। তাঁর দাবি, রাহুল গান্ধীনতুন ভাবে সংগঠন গড়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই আহ্বান বাকি নেতারা মানেননি।
একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে ইন্দোর, উজ্জয়িনী (গ্রামীণ), সাতনায়। ইতিমধ্যেই দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বেশ কয়েক জন স্থানীয় নেতা।
৭১ জনের মধ্যে ২১ জন জেলা সভাপতিকে ফের নিয়োগ করা হয়েছে। জেলা সভাপতিদের মধ্যে ৩৭ জন সংরক্ষিত শ্রেণির। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ শ্রেণির ৩৫ জন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ১২ জন, তফসিলি জনজাতির ১০ জন, তফসিলি জাতির ৮ জন। মহিলার সংখ্যা ৪ জন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে রয়েছেন তিন জন। ছয় বিধায়ক, আট প্রাক্তন বিধায়ক ও তিন প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেলা স্তরের দায়িত্বদেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, তৃণমূল স্তরের নেতাদের উপেক্ষা করে বিধায়ক-মন্ত্রীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন কর্মীদের একাংশ। সূত্রের মতে, রাহুল গান্ধীর নজরদারিতে এই তালিকা তৈরি হলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ নিজের প্রভাব অটুট রাখতে পেরেছেন। তাঁর অন্তত ১০ জন অনুগামী নয়া তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)