অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ পুরসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে রাজ্য সরকারের অডিট বিভাগ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তদন্ত করবেন পিনাকি ভট্টাচার্য। একে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক বলে চিহ্নিত করেছেনে সভানেত্রী শিখা সূত্রধর। তাঁর বক্তব্য, উত্তর করিমগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপির সদস্য মিশনরঞ্জন দাস পুরসভার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন। সে জন্যই এ সব করা হচ্ছে। পুরনেত্রী জানান, তদন্ত সংক্রান্ত চিঠি করিমগঞ্জ পুরসভায় পাঠানো হয়েছে। তার প্রতিলিপি একইসঙ্গে দিয়েছে মিশনবাবুর কাছেও। তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
শিখাদেবীর অভিযোগ, করিমগঞ্জ পুরসভার অনাস্থা ভোটে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর থেকেই চক্রান্ত করতে শুরু করেছে। পুরসভার সংখ্যাধিক্য সদস্যের উপস্থিতিতে বাজেট পাশ হলেও, তা নিয়ম মেনে পাশ করানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির কয়েক জন পুরসদস্য। শাসক বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন পুরনেত্রী। শিখাদেবী বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পুরসভার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বিজেপি। রাজনীতি করে শহরের উন্নয়ন আটকে দিয়েছে। এখন তদন্তের ভয় দেখানো হচ্ছে।’’
পুরসভার বিরুদ্ধে আর্থিক তদন্ত নিয়ে সরগরম বিজেপির অন্দরমহলও। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি নেতা মিশনবাবু ২০১০ সাল থেকে এ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। ওই সময় পুরপ্রধান ছিলেন বর্তমানে বিজেপি সদস্য তথা উত্তর করিমগঞ্জ আসনে দলের টিকিটের প্রবল দাবিদার মানস দাস। বিজেপি সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, ২০১০ সাল থেকে পুরসভার আয়ব্যয়ের হিসেব তদন্তের আওতায় এলে চাপে পড়তে পারেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মানসবাবু। সে দিকে তাকিয়েই ২০১০ সাল থেকে তদন্তের দাবি করেছিলেন মিশনবাবু। এ বিষয়ে মিশনবাবুর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy