পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং লশকর-এ-ত্যায়বা জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগসাজশেই পহেলগাঁও হামলা চালানো হয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) প্রাথমিক রিপোর্টে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, এই হামলার ছক কষা হয়েছিল পাকিস্তানে লশকরের সদর দফতরে বসেই।
এনআইএ সূত্রের খবর, হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় হাশিম মুসা ওরফে সুলেইমান এবং আলি ভাই ওরফে তলহা ভাই নামে দুই জঙ্গিকে এবং তারা পাকিস্তানি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের জেরা করে এমনও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, এই দুই জঙ্গি পাক ‘হ্যান্ডলার’দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল। শুধু তা-ই নয়, কোন সময়ে কোথায় যেতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে, কারা সহযোগিতা করবে— সব কিছু নির্দেশ এসেছিল পাকিস্তান থেকে।
সূত্রের খবর, হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা। তার পর কাশ্মীরে সক্রিয় ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’রা জঙ্গিদের আশ্রয়, খাবার এবং রাস্তা চিনতে সহযোগিতা করেছিল। হামলার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছেন তদন্তকারীরা। ফরেন্সিক এবং বৈদ্যুতিন তথ্যও সংগ্রহ করেছেন। হামলাস্থল থেকে ৪০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির ব্যালিস্টিক এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ২৮০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ। ১৫০ জন সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ যেমন রয়েছে, তেমনই বেশ কিছু লোকজন রয়েছে, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-এ-ইসলামি এবং হুরিয়ত কনফারেন্স-এর বিভিন্ন শাখার সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িত। কুপওয়ারা, পুলওয়ামা, সোপোর, অনন্তনাগ এবং বারামুলায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। পহেলগাঁওয়ের আশপাশের ব্যস্ত এলাকা এবং ওই এলাকায় প্রবেশের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
গত ২২ এপ্রিল বৈসরনে জঙ্গি হামলা হয়। সেই হামলায় ২৫ ভারতীয় এবং নেপালের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়।