ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রাখল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা এবং আখনুর— এই পাঁচ জায়গায় ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর এই নিয়ে টানা আট দিন সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। গত সাত দিনের মতো অষ্টম দিনেও পাক সেনাকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
মনে করা হচ্ছে জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাকে ব্যতিব্যস্ত রেখে মুহূর্তের অসতর্কতায় নজর এড়িয়ে জঙ্গিদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে। পাশাপাশি ভারত সামরিক দিক থেকে কতটা প্রস্তুত, তা-ও পরখ করতে চাইছে ইসলামাবাদ। তবে এমন সব কৌশলের কথা মাথায় রেখে সজাগ রয়েছে ভারতীয় সেনাও।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-পাক কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। এক সপ্তাহ পরেও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর ভারতের বিরুদ্ধেও পাল্টা বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করে পাকিস্তান। তারা হুঁশিয়ারি দেয়, জলপ্রবাহ বন্ধ করা হলে সেটিকে ‘যুদ্ধ’ হিসাবে দেখা হবে। পাকিস্তান আরও দাবি করে, শিমলা চুক্তি স্থগিত করারও অধিকার রয়েছে তাদের। বস্তুত, ১৯৭২ সালে এই শিমলা চুক্তির মাধ্যমেই কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা তৈরি হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে, ওই সময়ে যে দেশের বাহিনী কাশ্মীরের যেখানে অবস্থান করছিল, সেখানেই অবস্থান করবে। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।