পুলিশ মেসে খাবারের মান দেখে ফুঁসে ওঠেন পুলিশ কর্তা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বড় একটি গামলা, তার মধ্যে রাখা ট্যালট্যাল করছে ডাল। খাবারের চেহারা দেখেই ফুঁসে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলার পুলিশ কর্তা কমলেশ দীক্ষিত। ডাল ভরা পাত্র দেখিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, “এগুলি কী? এগুলি ডাল না জল!”
মেসের খাবারের মান নিয়ে ফিরোজাবাদে এক পুলিশকর্মীর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই পুলিশকর্মীদের কী ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে জেলায় জেলায় অভিযান চালান পুলিশ কর্তারা। তেমনই মৈনপুরীর পুলিশ কর্তা কমলেশ দীক্ষিত গিয়েছিলেন জেলার একটি পুলিশ মেসে। সেখানে গিয়ে খাবারের মান দেখেই চটে যান তিনি।
মেসের কর্মীদের উদ্দেশ করে তাঁর মন্তব্য, “এ বার বুঝেছি, কেন ফিরোজাবাদের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। খাবারের মান কি শুধরানো যায় না?” এর পরই তিনি ডাল ভরা পাত্রের দিকে এগিয়ে যান। ডালের মান দেখে তো তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। ফের মেসের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এর জন্যই কি আপনাদের মাইনে দেওয়া হয়? যদি ভালবেসে খাবারটা বানান, তা হলে এমনিই স্বাদ বেড়ে যাবে।”
#SPMPI @KamleshDixitIPS द्वारा पुलिस लाइन स्थित जिला मैस का औचक निरीक्षण किया गया, दौराने निरीक्षण मैस मे साफ-सफाई व खाने की गुणवत्ता हेतु संबन्धित को आवश्यक दिशा-निर्देश दिए गए । pic.twitter.com/oxwKNiUN2r
— MAINPURI POLICE (@mainpuripolice) August 15, 2022
মৈনপুরী পুলিশের তরফে টুইট করে পুলিশ কর্তার অভিযানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তা দীক্ষিত বলেন, “এটা রুটিন অভিযান। সরকার থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীরা যেন কোনও ভাবেই বঞ্চিত না হন।” দু’দিন আগেই এই অভিযানে গিয়েছিলেন দীক্ষিত।
গত ১১ অগস্ট ফিরোজাবাদের এক কনস্টেবল মনোজ কুমার মেসের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন। একটি থালার মধ্যে রাখা রুটি, ডাল দেখিয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘এই খাবার কুকুরেও খাবে না। এক জন পুলিশকর্মী যে ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেন, তার পরে এ ধরনের খাবার খেলে কী ভাবে কাজ করবেন তাঁরা।” এই সমস্যার কথা শীর্ষ আধিকারিকদেরও জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মনোজ। মনোজের অভিযোগ, কাজ থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। সেই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খাবারের মান দেখতে অভিযান শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy