নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে কেন তিন মাসেও কোনও তদন্ত শুরু হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, এটা কি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা? প্রসঙ্গত, আসন্ন বাদল অধিবেশনে নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে সংসদে ইমপিচমেন্ট (বরখাস্ত)-এর প্রস্তাব আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সূত্রের মতে, রাজ্যসভাতেই ওই ইমপিচেমেন্ট প্রস্তাব প্রথম আনবে সরকার।
আজ চণ্ডীগড়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এক জন বিচারপতির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠা কোনও ভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ধনখড়। সূত্রের মতে, আজকের আলাপচারিতায় এ নিয়ে অনুসন্ধানে হওয়া দীর্ঘসূত্রিতাও কোনও ভাবেই ঠিক নয় বলেই দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ওই ঘটনার পরে তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তদন্তু শুরু হয়নি। অথচ, আদালত অন্য সব ক্ষেত্রেই সবার আগে জানতে চায়, এফআইআর দায়ের করতে দেরি হল কেন।
তিন দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা দিল্লিতে ধনখড়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন। সূত্রের মতে, সরকার যে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছে এবং তা যে রাজ্যসভাতেই ধনখড়ের তত্ত্বাবধানে আনতে চলেছেন সেই বিষয়টিই জানাতে গিয়েছিলেন সরকারের দুই শীর্ষ নেতা। তারপরে ওই বিষয়টি নিয়ে ধনখড়ের আজকের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
চলতি বছরে দোলের দিন (দিল্লিতে হোলি) দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবনের গুদামে আগুন লেগে যায়। দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে গিয়ে আধাপোড়া নোটের রাশি রাশি বান্ডিল উদ্ধার করে। বিতর্কের সূত্রপাত হলে ওই বিচারপতিকে দিল্লি থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে সরিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টির তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে। যারা গত ৩ মে রিপোর্ট জমা দিয়েছে শীর্ষ আদালতে।
তারপরে এক মাস কেটে গিয়েছে। এই আবহে সরকার চেয়েছিল, নিজে থেকেই ইস্তফা দিন বিচারপতি বর্মা। কিন্তু তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পদত্যাগের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনার প্রশ্নে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মোদী সরকার। এ নিয়ে শরিক এবং বিরোধী দলগুলিও সরকারের পাশে রয়েছে বলেজানা গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)