কয়লা খনি বণ্টন দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ছ’দিনের মাথায় ৩ বছরের জেল হয়ে গেল ইউপিএ জমানার কয়লা সচিব এইচ সি গুপ্তের। দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত আজ একই সাজা দিল মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব কে এস ক্রোফা এবং তৎকালীন অধিকর্তা কে সি সামরিয়াকেও। কিন্তু কারাদণ্ড ৪ বছরের কম হওয়ায় প্রাক্তন তিন আমলা তড়িঘ়ড়ি জামিনও পেয়ে গেলেন।
২০০৫-এর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৮-এর নভেম্বর পর্যন্ত কয়লা সচিব ছিলেন গুপ্ত। একই সঙ্গে কয়লাখনি বণ্টন নিয়ে তৈরি স্ক্রিনিং কমিটির প্রধানও। তাঁর আমল থেকে শুরু করে ইউপিএ সরকারের দু’দফায় দেশের মোট ৪০টি খনি অবৈধ ভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কেলেঙ্কারি সামনে আসে। ২০১২ থেকে তদন্তে নামে সিবিআই। ২০১৪-য় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ভারত পরাশরকে বিশেষ দায়িত্ব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ তাঁরই এজলাসে পশ্চিমবঙ্গের দু’টি কয়লাখনি অবৈধ বণ্টনের মামলাটি ওঠে। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়মনীতির পরোয়া না করেই ময়রা ও মধুজোড়ের খনি বিকাশ মেটালস অ্যান্ড পাওয়ারস লিমিটেডকে (ভিএমপিএল) পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় আজ ভিএমপিএলের মালিক বিকাশ পতনি এবং সংস্থার অনুমোদিত স্বাক্ষরকারী কর্তা আনন্দ মল্লিককে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পতনিকে ৩৫ এবং মল্লিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে। আমলাদের জরিমানা ধার্য হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে।
সিবিআই এখনও পর্যন্ত যে ৪০টি খনি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে, তার মধ্যে ১২টিতে মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন কয়লাসচিব। আগেই দু’টি মামলায় ২ বছর এবং ৩ বছর করে জেল হয়েছিল তাঁর। যথারীতি জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। এ বার সিবিআই তাই এই মামলায় গুপ্ত-সহ সব অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ৭ বছর করে কারাদণ্ডের জন্য আর্জি জানিয়েছিল।
আজ সাজাপ্রাপ্ত কয়লা মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব গত বছর ডিসেম্বরে মেঘালয়ের মুখ্যসচিব হিসেবে অবসর নিয়েছেন। আগের একটি মামলাতে তাঁর এবং সামসিয়ার ২ বছরের জেল হয়েছিল। গত চার বছরে সিবিআই কোর্ট ছ’টি খনি বণ্টন মামলার রায় দিয়েছে। ২০০৫-এ ওড়িশায় আদিত্য বিড়লা গ্রুপকে একটি খনি পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নাম জড়ায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহেরও। তাঁকে এবং সংস্থার চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা-সহ মোট ছ’জনকে সমন পাঠায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy