—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা ভোটে লড়তে প্রস্তুত। এমনটাই ঘোষণা করল কাশ্মীরের নিষিদ্ধ সংগঠন ‘জামাত-ই-ইসলামি কাশ্মীর’ (জেল)।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে জেল-এর বিরুদ্ধে। যারা এক সময়ে ভোট বয়কটের ডাক দিত, তারাই এখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে লড়তে চায়। জেল-এর প্রধান গুলাম কাদির ওয়ানি আজ পুলওয়ামায় সাংবাদিকদের কাছে জানান, তাঁদের সদস্যেরা এই লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ওয়ানি নিজেও জানান, ১৩ মে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘এ বছর সেপ্টেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন কাশ্মীরে। আমরা তাতে অংশ নিতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা চিরকালই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কেন্দ্র যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, আমরা প্রার্থী দেব। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ঢুকতে গেলে আমাদের প্রথম যেটা প্রয়োজন, তা হল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।’’ ওয়ানি জানান, তাঁদের নির্বাচনী প্রচারের মূল বক্তব্য হবে, সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। সেই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই, সামাজিক নৈতিকতা বোধ বাড়ানোর লড়াই।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সংগঠনই তো অতীতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়ানির ব্যাখ্যা, সে সময়ে সাধারণ মানুষের সেটাই দাবি ছিল। তাঁরা জনসাধারণকে অনুসরণ করেছিলেন।
লোকসভা ভোটে শোনা যাচ্ছিল, পিডিপি-কে সমর্থন করছে জেল। কিন্তু এখন তাদের নিজেদেরই ভোটে লড়তে চাওয়া কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে কেন্দ্র এই প্রস্তাবকে কী ভাবে গ্রহণ করে, সেটা দেখার। উল্লেখ্য, অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে জেল-এর বহু নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এমনকি জেল-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা আব্দুল হামিদ ফায়াজ়কেও শ্রীনগরে তাঁর বাড়ি থেকে আটক
করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy