রাত ফুরোলেই বর্ষপূর্তি। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছিল গত বছর ৫ অগস্ট। তার পর থেকে দফায় দফায় কার্ফু, করোনার জেরে লকডাউন আর জঙ্গি-দমনে প্রশাসনিক তৎপরতায় কার্যত ঘরবন্দি ভূস্বর্গ। স্থানীয় অধিকাংশ নেতা হয় নজরবন্দি, নয়তো পুলিশি হেফাজতে। এই অবস্থায় কেমন আছে জম্মু-কাশ্মীর?
মঙ্গলবার উপত্যকার অন্যান্য অংশে কড়া ভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। তবে গোলমালের আশঙ্কায় গত কাল রাত থেকে শ্রীনগরে কার্ফু জারি হয়। কিন্তু আজ তেমন গোলমাল না হওয়ায় সন্ধ্যায় শ্রীনগর থেকে কার্ফু তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তবে করোনা প্রতিরোধের জন্য জারি করা নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। বর্ষপূর্তিতে পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গোলমাল পাকাতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল পুলিশ। তার ভিত্তিতেই কার্ফু জারি করে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রের খবর, আজ সমস্ত এলাকা মোটের উপরে শান্ত ছিল। বন্ধ ছিল বাজার-দোকান। সরকারি অফিস খোলা থাকলেও, হাজিরা ছিল নগণ্য। সকাল থেকেই দফায় দফায় টহল দিয়েছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। শ্রীনগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে ছাড় পেয়েছেন স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। তবে রোগী ও তাঁর পরিজনদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতেও সাহায্য করেছে সেনা।