Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্থগিত জাঠেদের দিল্লি অভিযান

দিন পনেরোর জন্য দিল্লি অভিযান স্থগিত রাখলেন জাঠেরা। শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতে গতকাল সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল অখিল ভারতীয় জাঠ আরক্ষণ সংঘর্ষ সমিতি। সমস্যা সমাধানে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হরিয়ানা ভবনে বৈঠকে বসেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:৩৯
Share: Save:

দিন পনেরোর জন্য দিল্লি অভিযান স্থগিত রাখলেন জাঠেরা। শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতে গতকাল সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল অখিল ভারতীয় জাঠ আরক্ষণ সংঘর্ষ সমিতি। সমস্যা সমাধানে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হরিয়ানা ভবনে বৈঠকে বসেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

শেষমেষ বিকেলের বৈঠকে রফাসূত্র মেলে। কিছুটা পিছু হটে সরকারকে পনেরো দিন সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জাঠ নেতারা।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি যশপাল মালিক বলেন, ‘‘জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের চেয়ারম্যান জাঠেদের সংরক্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যান্য দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রেও সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখানোয় আপাতত সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল সংসদ অভিযান হচ্ছে না।’’ তবে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র সংরক্ষণ প্রশ্নে ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে দিল্লি অভিযান করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যশপাল।

সংসদ অভিযান রুখতে আজ সকাল থেকে জাঠেদের বার্তা দিতে তৎপর হয় কেন্দ্র। দিল্লি চলে আসেন খট্টর। হরিয়ানা ভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার জাঠেদের সংরক্ষণের জন্য একটি বিল আনলেও তা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। খট্টর আজ যশপালকে বোঝান, রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় শিবিরই জাঠেদের সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু আইন বাঁচিয়ে কী ভাবে তা আনা যায় তা বুঝতে সরকারকে সময় দিতে হবে। কারণ গোটা বিজেপি নেতৃত্ব এখন উত্তরপ্রদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে লখনউতে রয়েছেন। দিল্লি ফিরে এসেই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি ফের বিবেচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন খট্টর।

একই সঙ্গে গত বছরের আন্দোলনে বন্দি ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আশ্বাস দেন খট্টর। আন্দোলনে মৃতদের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও খতিয়ে দেখতে রাজি হয় সরকার। তারপরেই আন্দোলন থেকে আপাতত সরে আসার কথা ঘোষণা করেন যশপালেরা।

হরিয়ানা ও কেন্দ্রীয় তালিকাতেও জাঠেদের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত (ওবিসি) হিসেবে গণ্য করে সংরক্ষণের আওতায় আনার দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছেন জাঠেরা। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মতো সুযোগ সুবিধে চান তারা।

সেই দাবিতে প্রথমে ২ মার্চ ও তারপর গত সপ্তাহে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসে নজাঠেরা। দাবি না মানলে আগামিকাল দিল্লি অচল করে দেওয়ার পাশাপাশি হরিয়ানা থেকে যাওয়া দিল্লিবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়। সাময়িক এই যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তিতে সব শিবিরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jat Jantar Mantar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE