অভিনেত্রী জয়ললিতা। ছবি: সংগৃহীত।
তখন তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। এডিএমকে-র দাপুটে নেত্রী। সেই পরিচয়েই গিয়েছিলেন ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’ শো-তে। জনপ্রিয় সেই শো-তে সঞ্চালক ছিলেন সিমি গ্রেবাল। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাজনীতিক ছাড়াও সে দিন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এক অন্য ‘আম্মা’কে। কখনও তিনি মেয়েবেলার ক্রাশ নিয়ে লাজুক, কখনও বা সিমির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে শুনিয়েছিলেন পছন্দের গান। গতকাল মধ্যরাতে জয়ললিতার প্রয়াণে এক যুগের অবসান হয়েছে। তারপরই ভক্তরা ফিরে যেতে চাইছেন সে দিনের স্মৃতিতে।
সেই সাক্ষাত্কারে জয়ললিতার কাছে সিমির প্রশ্ন ছিল, ‘‘সাধারণ স্কুলছাত্রীর মতো কোনও স্বপ্ন বা ক্রাশ ছিল আপনার?’’ স্মিত হেসে জয়ললিতার উত্তর, ‘‘অবশ্যই। আমি মনে করতে পারছি নারি কনট্রাক্টরের কথা। ওঁর প্রতি ক্রাশ ছিল।’’ ওই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানকে দেখতেই নাকি টেস্ট ম্যাচ থাকলে মাঠে যেতেন তিনি। তবে এখানেই শেষ নয়। ক্রাশের তালিকায় আরও একজন আছেন। আম্মার কথায়, ‘‘শাম্মি কপূরের প্রতিও গ্রেট ক্রাশ আমার।’’ না! কোনওদিন দেখা হয়নি তাঁদের। তবে ফ্যান্টাসি ছিল তা তাঁর কথায় পরিষ্কার। আম্মা সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জঙ্গলি আমার অন্যতম প্রিয় ছবি। আর সেই ইয়াহু গানটা..।’’
জয়ললিতার প্রিয় গান কী জানেন? পর পর বলে গেলেন নেত্রী। ‘‘একটা তো নয়, অনেক গান আছে। দো আঁখে বারা হাত, ইয়ে মালিক তেরে বন্দে হাম’’। সিমির অনুরোধ, ‘‘গাইবেন?’’ যেন লজ্জা পেলেন জয়ললিতা। বললেন,‘‘না এখন নয়। আমি একদম আউট অফ প্র্যাকটিশ।’’
সিমির সঙ্গে জয়ললিতা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
আরও আছে। বলে চলেন এক কালে ভারতের হায়েস্ট পেড অভিনেত্রী, ‘‘আ যা সনম, চোরি চোরি…।’’ ফের অনুরোধ করলেন সিমি, ‘‘একটা লাইন গাইবেন প্লিজ? এক সঙ্গেই না হয় গাইব আমরা…’’। রাজি হলেন জয়ললিতা। সিমির সঙ্গে সুর মিলিয়ে গেয়ে উঠলেন, ‘‘আ যা সনম…’’।
সে দিন যেন এক নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে চিনেছিলেন তামিলনাড়ুর মানুষ। এক অন্য রাজনীতিককে দেখেছিলেন তামাম রাজনীতিবিদরা। এক অচেনা মানুষকে চিনেছিলেন আম্মা ভক্তেরা।
আরও পড়ুন
শুধু তামিলনাড়ু নয়, দেশের হায়েস্ট পেড অভিনেত্রী ছিলেন জয়া
‘বহু বাধার বিরুদ্ধে লড়েছি, জয়াজির লড়াইটা বুঝি’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy