(বাঁ দিকে) ভিকে শশীকলা। জে জয়ললিতা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে আবার প্রবেশ করার কথা ঘোষণা করলেন ভিকে শশীকলা। সোমবার তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার সঙ্গীর বক্তব্য, ‘‘সময় এসেছে, আর চুপ করে বসে থাকা নয়। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে রাজ্যে দলকে জয়ী করতে হবে।’’ জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের বিপর্যয়ের জন্য দলেরই একাংশকে দায়ী করেছেন শশীকলা। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধী দলের নেত্রী হিসাবে এ বার আমি সরকারকে প্রশ্ন করব। এত দিন যিনি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, তিনি প্রশ্ন করতেন না।’’ নাম না করে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা কে পলানিস্বামীর দিকেই আঙুল তুলেছেন।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে তামিল রাজনীতিতে এডিএমকে দলের সংগঠনে ক্রমশ ক্ষয় হতে শুরু করে। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে ছিলেন জয়ললিতার আস্থাভাজন শশীকলা। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং দলের দায়িত্ব সামলেছেন পলানিস্বামী। পরে সে রাজ্যে ক্ষমতা হারায় আম্মার দল। জেল থেকে বেরিয়ে শশী দলে ফিরলেও তাঁর প্রভাব সে ভাবে ছিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। এডিএমকের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পায় তাঁর। এখন লোকসভা নির্বাচনে এডিএমকের ভরাডুবির পরে দলকে নেতৃত্ব দিতে চান শশীকলা। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি নির্বাচনে হেরে গিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন, দল শেষ হয়ে হয়েছে। আমি শপথ করছি, দলকে আবার লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যাব। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন জিতে আবার তামিলনাড়ুতে আম্মার শাসনের সূচনা করব।’’
পলানিস্বামীর নেতৃত্বে খারাপ ফল করেছে বলে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও তীব্র করেছেন শশীকলা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পলানিস্বামী দলকে উপযুক্ত জায়গায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিশ্চিত ভাবে বলছি, তামিলনাড়ুর মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছেন।’’ শশীকলা যে দলে আবার সক্রিয় হতে পারেন, সম্প্রতি তাঁর কাজকর্মে অনেকে তা ধরে নিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে তিনি রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে দলের কেমন সংগঠন, পরাজয়ের কারণ কী, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন শশীকলা। অবশেষে সোমবার তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy