Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
DRM

ডিআরএমের স্ত্রীকে জুতো খুলে ঢুকতে বলার ‘শাস্তি’! জামাকাপড় খুলিয়ে বাড়ি পাঠানো হল রেলকর্মীকে

হাসপাতালে রুটিন চেক-আপের জন্য এসেছিলেন ধানবাদের ডিভিশনাল রেল ম্যানেজারের (ডিআরএম) স্ত্রী। তিনি জুতো পরে চিকিৎসকের চেম্বারে যাচ্ছিলেন। বাধা দেওয়ার পরেও তিনি জুতো পরেই চেম্বারে ঢোকেন।

অভিযোগ নিয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি ডিআরএম (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ জন)।

অভিযোগ নিয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি ডিআরএম (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ জন)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
রাঁচী শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১৩:৪২
Share: Save:

রেলের হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁর চেম্বারে সবাইকে জুতো খুলে ঢোকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ যাতে রোগীরা পালন করেন তা লক্ষ্য রাখছিলেন রেলের হাসপাতালের এক কর্মী। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁকেই শাস্তি পেতে হল। অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফিরতে হল বাড়ি। ধানবাদের ঘটনা। এই ঘটনার আকস্মিকতায় মুষড়ে পড়েছেন ওই কর্মী। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে খবর।

একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, রেলের ওই হাসপাতালের কর্মীর নাম বসন্ত উপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে রুটিন চেক-আপের জন্য এসেছিলেন ধানবাদের ডিভিশনাল রেল ম্যানেজারের (ডিআরএম) স্ত্রী। তিনি জুতো পায়ে চিকিৎসকের চেম্বারে যাচ্ছিলেন। তাঁকে বাধা দেন বসন্ত। জানান, ডাক্তারবাবুর বারণ রয়েছে। জুতো খুলে চেম্বারে যেতে হবে। অভিযোগ, কর্মীর নিষেধ না শুনে জুতো পরেই ডাক্তারবাবুর চেম্বারে ঢোকেন ডিআরএমের স্ত্রী। এর পর বিকেলে বসন্তের খোঁজ নেন ডিআরএম। হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্টকে ডিআরএম জানান, ওই কর্মীকে নিয়ে তাঁর কাছে যেতে।

অভিযোগ, ডিআরএমের চেম্বারে গেলে হাসপাতালের ওই কর্মীকে বেদম বকুনি দেওয়া হয়। বসন্ত বলতে চান, তিনি শুধু নির্দেশ পালন করেছিলেন। এতে নাকি আরও রেগে যান ওই ডিআরএম। ওই কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয় পরনের জামাকাপড় খুলে ফেলতে হবে। এর পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। শুক্রবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে।

সহকর্মীরা জানান, ওই ঘটনার পরে মানসিক ভাবে এতটাই আঘাত পেয়েছেন বসন্ত, যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।

অন্য দিকে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রেলের ডিসিএম অমরীশ কুমার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিআরএমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের এক গ্রুপ ডি কর্মী দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মহিলা কল্যাণ সংগঠনের সভাপতির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ জন্য ডিআরএম ওই কর্মীকে ডেকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়ি পাঠানো হয় বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।’’ অন্য দিকে, শাস্তি পাওয়া কর্মীর সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, বসন্তকে অর্ধনগ্ন করেই বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চান। যদিও তাতেও বিক্ষোভ পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

DRM Dhanbad Doctor's Chamber
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE