Advertisement
E-Paper

লাল কার্পেটে শিল্প টানতে চায় ঝাড়খণ্ড

লাল ফিতের ফাঁস নয়। রাজ্যে শিল্প গড়তে ইচ্ছুক লগ্নিকারীদের লাল কার্পেটে স্বাগত জানাবে ঝাড়খণ্ড সরকার। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিন এ ভাবেই লগ্নিকারীদের আহ্বান জানালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। রাঁচির খেলগাঁও স্টেডিয়ামে আজ ও আগামী কাল চলবে ‘ফুড প্রসেসিং ইনভেস্টরস সামিট’। প্রশাসনিক সূত্রে খবর— পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, মেঘালয়, রাজস্থান-সহ আটটি রাজ্য থেকে ৪০টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০২

লাল ফিতের ফাঁস নয়। রাজ্যে শিল্প গড়তে ইচ্ছুক লগ্নিকারীদের লাল কার্পেটে স্বাগত জানাবে ঝাড়খণ্ড সরকার।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিন এ ভাবেই লগ্নিকারীদের আহ্বান জানালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। রাঁচির খেলগাঁও স্টেডিয়ামে আজ ও আগামী কাল চলবে ‘ফুড প্রসেসিং ইনভেস্টরস সামিট’। প্রশাসনিক সূত্রে খবর— পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, মেঘালয়, রাজস্থান-সহ আটটি রাজ্য থেকে ৪০টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ১০টি মউ স্বাক্ষর করা হবে।

তারই উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে লগ্নি করুন। কথা দিচ্ছি, লাল ফিতের ফাঁসে প্রকল্প আটকে থাকবে না। এ বার লাল কার্পেটের জমানা শুরু হবে এখানে। শিল্পপতিদের লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানাব।’’ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস জানান, মটর ও টম্যাটো উৎপাদনে ঝাড়খণ্ড দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জায়গায় থাকলেও, সে সব প্রক্রিয়াকরণের পরিকাঠামো রাজ্যে গড়ে ওঠেনি। সে জন্যেই ভিন্‌রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলিকে ঝাড়খণ্ডে লগ্নি করার আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ঘাটতিতে চলছে ঝাড়খণ্ড। তাই সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের গরু, মোষ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গরিব কৃষকরা জায়গার অভাবে গরু প্রতিপালন করতে পারেন না। তাই সরকারের তরফ থেকে পশু আবাসনও তৈরি করে দেওয়া হবে।’’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে আলু সরবরাহ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের মনোমালিন্য হয়েছিল। এ রাজ্যে হিমঘর নেই। তাই ঝাড়খণ্ডের আলু ব্যবসায়ীরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলু কিনে সেখানকারই হিমঘরে রেখে দেন। সে বছর মজুত করা সেই আলুই ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যেতে দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রঘুবর জানান, অন্য রাজ্য থেকে সব্জি-সহ অন্য সামগ্রী নিয়ে আসার সময় ‘টোল-ট্যাক্স’ আদায়ের নামে কয়েকটি জায়গায় ব্যবসায়ীরা পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। তা রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এ রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়তে অনেক সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। ওড়িশার একটি সংস্থা এখানে হিমঘর তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।’’ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা সাগর ডোডিয়া বলেন, ‘‘আমরা ঝাড়খণ্ডে হিমঘর ও আলুর চিপস তৈরির কারখানা গড়ার কথা ভাবছি। এ নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দ্রুত কথা বলা হবে।’’ ঝাড়খণ্ডের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের সচিব হিমানি পাণ্ডে জানান, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের পরিকাঠামো উন্নত করতে মউ স্বাক্ষর করা হবে।

Jharkhand industrialist Food Processing west bengal Bihar meghalaya rajasthan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy