দীপিকা পাড়ুকোনকে আক্রমণ স্মৃতি ইরানির। —ফাইল চিত্র
তাঁর ‘অপরাধ’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার জেরে দীপিকা পাড়ুকোনকে আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এ বার সেই তালিকায় যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যা স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘উনি এমন সব লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগান দেন’’। দীপিকা কংগ্রেসকে সমর্থন করেন বলে ২০১১ সালের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেও বলিউড তারকাকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্মৃতি। সেখানেই দীপিকা পাড়ুকোনের জেএনইউ ক্যাম্পাসে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন উপস্থাপক। জবাবে স্মৃতি বলেন, ‘‘যাঁরা খবরটা পড়েছেন, সবাই জানেন উনি (দীপিকা পাড়ুকোন) কাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের পাশে, যাঁরা প্রতিটি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুতে উৎসব পালন করে।’’
গত ৫ জানুয়ারি এক দল মুখোশধারী যুবক জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐষী ঘোষ-সহ পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের মারধর করা হয়। আহত হন মোট ৩০ জন। মাথা ফাটে ঐশীর। হামলার অভিযোগ ওঠে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে।
ওই দিনের ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। অন্য দিকে ৭ জানুয়ারি নিজের ছবি ‘ছপাক’ এর প্রচারে দিল্লিতে ছিলেন দীপিকা। তার মধ্যেই ওই দিন সন্ধের দিকে ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান দীপিকা। তার পর থেকেই বিজেপির নিশানায় ‘ছপাক’-এর নায়িকা। ২০১১ সালে দীপিকা পাড়ুকোন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাহুল গাঁধীকে পছন্দ করেন। জেএনইউ-এ যাওয়ার পর সেই ভিডিয়োটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
. @smritiirani takes down Deepika Padukone for supporting Bharat Tere Tukde Gang pic.twitter.com/XzqTmSjeaN
— Tajinder Pal Singh Bagga (@TajinderBagga) January 10, 2020
স্মৃতি ইরানি এ দিন সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওঁর (দীপিকা পাড়ুকোন) রাজনৈতিক-যোগ জানি। আমি তাঁর সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তিনি কার পাশে দাঁড়াবেন, সেটাও তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১১ সালেই উনি নিজের রাজনৈতিক-যোগের পরিচয় দিয়েছিলেন। এটা ওঁর অধিকার যে, যাঁরা বলেন ভারত টুকরো টুকরো হবে, তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy