পড়ুয়াদের মিছিলে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। রয়েছেন কানহাইয়া কুমারও। ছবি: প্রেম সিংহ
উপাচার্য এম জগদেশ কুমারকে সরানোর দাবিতে জেএইউয়ের পড়ুয়ারা অনড়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁদের প্রথম দফার আলোচনাও আজ সফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে টুইটে মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামিকাল, শুক্রবার দুপুর তিনটের সময়ে ছাত্র-প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী কাল মন্ত্রকে কথা বলতে যাওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদেরও। যদিও তার মধ্যে কুমার থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
জেএনইউয়ে হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত আজই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পড়ুয়াদের প্রশ্ন, যে উপাচার্য একতরফা ভাবে শুধু আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপরে দোষ চাপাচ্ছেন, তাঁর তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে কি? এছাড়া, প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও শুনিয়ে রেখেছেন, ‘‘৫ জানুয়ারি নয়, আসলে তার আগের দিন কাপড়ে মুখ ঢেকে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। সার্ভার রুম ভাঙচুর করতে।’’ মূলত যে অভিযোগে ঐশী ঘোষ-সহ ২০ জন পড়ুয়ার নামে এফআইআর দায়ের করেছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, গত রবিবারের তাণ্ডব খতিয়ে দেখতে কংগ্রেসের গঠিত কমিটি কাল সনিয়া গাঁধীর কাছে রিপোর্ট দেবে।
বিরোধী নেতাদের তরফে তো বটেই, উপাচার্যকে সরানোর দাবি উঠছে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও। বিজেপির ‘মার্গ দর্শক মণ্ডলীর’ সদস্য মুরলীমনোহর জোশীও আজ এই দাবি জানান। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন্দ্র সত্যিই সরায় কি না, তা নিয়ে চর্চা হলেও রাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্র জানায়, মন্ত্রকের তরফে বলা হচ্ছে, উপাচার্যকে সরালেই সমস্যার সমাধান হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy