শাসক দল সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকেও চাকরি না পাওয়ায় একদল বেকার ক্যাডার আজ পার্টি অফিসেই তালা ঝুলিয়ে দিল। সেই তালা খুললেও এবং বিক্ষুব্ধরা শেষ পর্যন্ত পার্টির চাপে ভুল হয়েছে বলে মুচলেখা দিলেও দলের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে যে অস্বস্তি তৈরিহয়েছে তা যে সহজে যাবার নয় তা একান্তে স্বীকার করছেন দলের কোনও কোনও নেতা।
তাঁদের পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে। তাঁরা পার্টির জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রাণপাত করছেন। অথচ চাকরি হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কার্যত এই অভিযোগেই গন্ডগোলের শুরু। সম্প্রতি রাজ্য সরকার স্বরাষ্ট্র দফতরের কিছু শূন্যপদ পূরণ করছে। ছাড়া হচ্ছে পুলিশ ‘কনস্টেবল’ পদে বেশ কিছু চাকরির নিয়োগ পত্র। এই ‘চাকরি ইস্যু’ থেকেই সিপিএমের বেকার কর্মীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। নেতানেত্রীদের সামনেই চাকরি না পাওয়া বেকার এই যুবকরা রাজধানীর শহরতলি, ডুকলি অঞ্চলে বনকুমারীর পার্টি অফিসে গত কাল তালা লাগিয়ে দেন।
খবর পেয়েই স্থানীয় সিপিএম নেতারা ছুটে আসেন। ক্ষুব্ধ যুবকদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘যে সব বেকারদের প্রকৃতই চাকরির প্রয়োজন, তাঁদের পাশ কাটিয়ে নেতাদের আত্মীয়স্বজন-সহ ঘনিষ্ঠদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁদের দাবি, আর্থিক ভাবে প্রকৃতই দুর্বল, এমন পরিবারের বেকারদেরই চাকরিটা বেশি প্রয়োজন। তাঁদেরকেই আগে চাকরি দিতে হবে।
এমন ঘটনা বামফ্রন্টের শাসনকালে যে একেবারেই অস্বাভাবিক ও অভূতপূর্ব, তা মেনে নিয়েছেন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর। তিনি শুধু বলেন, ‘‘স্থানীয় নেতারাই বিষয়টি ভাল জানবেন।’’ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ডুকলি এলাকার সিপিএম নেতা তথা আগরতলা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তী। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির ফলে কিছু যুবক পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য গত কালই বন্ধ পার্টি অফিসের তালাটি খোলাও হয়েছে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা ভুল হয়েছেবলে কাগজে লিখে পরে একটি মুচলেকাও দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy