মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশে সিলমোহর দিল। কলেজিয়ামের মধ্যে তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলি এবং বিচারপতি অলোক আরাধেকে শীর্ষ আদালতে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হল। অথচ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের অন্যতম সদস্য বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন গুজরাতের বিচারপতি পাঞ্চোলিকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
বুধবারই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, কলেজিয়ামের সুপারিশ মাফিক বিচারপতি পাঞ্চোলি, বিচারপতি আরাধেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু চললে বিচারপতি পাঞ্চোলি ২০৩১-এ প্রধান বিচারপতি হবেন।
বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলি বর্তমানে পটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। গত মে মাসে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে আনার প্রস্তাব আসে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের মধ্যে বিচারপতি নাথ ও বিচারপতি নাগরত্ন সেই সময়েই আপত্তি তুলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের বদলে তাঁকে পটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি করা হয়। কিন্তু পাঁচ মাসের মধ্যে ফের কলেজিয়ামে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের প্রস্তাব আসে। সূত্রের খবর, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি নাগরত্ন (যা প্রকাশের দাবি তোলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এস ওকা)। কিন্তু বাকি চার বিচারপতি পাঞ্চোলির পদোন্নতিতে সায় দেওয়ায় কলেজিয়াম তাঁর নাম সুপারিশ করে। আইনজীবীদের অবশ্য মত, এর ফলে শীর্ষ আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)