সোমবার থেকে সংসদের বাদল অধিবেশনে বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অপসারণের জন্য ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আসতে চলেছে। তার ঠিক আগে শুক্রবার বিচারপতি বর্মা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি বর্মার বাসভবন থেকে বস্তা ভর্তি নোট উদ্ধার হয়েছিল। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না কোর্টের নিজস্ব তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই তদন্ত রিপোর্টকে ভিত্তি করেই শাসক, বিরোধী দল মিলে বিচারপতি বর্মার অপসারণ প্রস্তাব তৈরি করছে। বিচারপতি বর্মা ওই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি উদ্ধার হওয়া বস্তা ভর্তি টাকার মালিক যে তিনিই, তা প্রমাণ করতে পারেনি। টাকা উদ্ধারের অভিযোগের সত্যতাও প্রমাণ করতে পারেনি। উল্টে ওই টাকা তাঁর নয়, তা প্রমাণের দায় বিচারপতি বর্মার উপরে চাপিয়েছে।
সংসদে যে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আসছে, তা স্পষ্ট করে আজ কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত। সংসদে বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে সরকারের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদেরা মিলে প্রস্তাব আনবেন। শাসক, বিরোধী সব দলই বিচারবিভাগে দুর্নীতিকে গুরুতর বিষয় বলে মনে করছে।
বিচারপতি বর্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে বস্তা ভর্তি নগদ উদ্ধার হয়। তারপর তাঁকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলি করা হয়। বিচারপতি বর্মা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে দাবি করেছেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা বিচারপতি তদন্ত আইন মেনে হয়নি। তাঁকে সরানোর যে সুপারিশ হয়েছে, তা অসাংবিধানিক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)