গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নাকি তাঁর উপর মোটেই চটে নেই। এমনটাই দাবি করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। কে হাল ধরবেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের, তা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লিতে এসে কমল নাথ বললেন, ‘‘আমার মনে হয় না, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অখুশি। আমি অন্তত মনে করি না, উনি কারও উপর চটে রয়েছেন। সংগঠন নিয়েই কথা হয়েছে দলনেত্রীর সঙ্গে। বার বারই বলছি, মধ্যপ্রদেশে দলের হাল ধরার জন্য এক জন শক্তপোক্ত নেতা দরকার। এ বারও দলনেত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সে কথা বলেছি।’’
১০ নম্বর জনপথ সূত্রের খবর, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নাকি অন্য কেউ? কে হবেন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি, তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। খবর রটেছে, প্রদেশ কংগ্রেসে শীর্ষ পদটি না পেলে ‘অন্য কিছু ভাবতে হবে’ বলে নাকি হুমকি দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য।
এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য কমল নাথ বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না, এই সব সঠিক। উনি (জ্যোতিরাদিত্য) কারও উপর চটে রয়েছেন বলে মনে হয় না। যিনিই দায়িত্ব পান, আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’’
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা তরুণী রাজস্থানে! প্রমাণ দিন, বলল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা রদ হতেই কাশ্মীরী মেয়েদের বিয়ে, চরম মাসুল গুণছেন দুই ভাই
জ্যোতিরাদিত্য যদিও প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই’, তবু নানা রকমের জল্পনাকল্পনা চলছে মূলত রাজ্য রাজনীতিতে জ্যোতিরাদিত্য-পন্থী বলে পরিচিত অশোক ডাঙ্গির সাম্প্রতিক মন্তব্যে। সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিয়ে ডাঙ্গি বলেছেন, ‘‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যদি রাজ্য রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, তা হলে আমার অন্তত ৫০০ জন সমর্থককে নিয়ে আমি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেব।’’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই জ্যোতিরাদিত্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদটি পাওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁর অবশ্য আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বীজয় সিংহের পছন্দের প্রার্থী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অর্জুন সিংহের পুত্র অজয় সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy