—ফাইল চিত্র।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মুম্বইয়ের কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে মিলিন্দ দেওরা। রাহুল গাঁধীর ইস্তফা ঘোষণার পরে নবীন-ব্রিগেডের বড় মুখের প্রথম পদক্ষেপ।
এর পর? দলেই প্রশ্ন উঠছে, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও কি ইস্তফা দেবেন? গত কালই তরুণ তুর্কিদের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলে প্রবীণদের উপর চাপ বাড়িয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। নবীনদের ইস্তফা কি অশোক গহলৌত, কমল নাথদের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা? নাকি মল্লিকার্জুন খড়্গের মতো কাউকে দলের পরবর্তী সভাপতি করে সচিন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য, মিলিন্দ দেওরার মতো নবীনদের সহ-সভাপতি করার ছক?
ঘটনা যাই হোক, লোকসভা ভোটে বিপর্যয় ও তার পরে রাহুল গাঁধীর ইস্তফার পর এখন কংগ্রেসে দিশেহারা অবস্থা। আগে এমন পরিস্থিতিতে শেষ কথা বলতেন সনিয়া বা রাহুল। তাঁরা হাত গুটিয়ে থাকায় এখন সিদ্ধান্ত নেওয়াই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জ্যোতিরাদিত্য অবশ্য বলেন, হারের দায় নিয়ে ৮-১০ দিন আগেই তিনি রাহুলের কাছে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আজ সেটি প্রকাশ্যে আনলেন। কিন্তু দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক ইস্তফা দিলে পূর্বের দায়িত্বে থাকা প্রিয়ঙ্কাও কি দেবেন? প্রিয়ঙ্কার টুইটারে অবশ্য আজও লেখা ‘সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’।
রাহুল নিজের ইস্তফা ঘোষণার খোলা চিঠিতেই বলেছিলেন, তিনি যেমন ইস্তফা দিয়েছেন, আরও অনেকের সেটা করা উচিত। এর পরেও উত্তরাখণ্ডের হরীশ রাওয়ত ছাড়া কোনও প্রবীণ নেতা ইস্তফা দেননি। গত সপ্তাহে একগুচ্ছ নবীন নেতা ইস্তফা দেন। গত কাল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কেশবচন্দ্র যাদবও ইস্তফা দিয়েছেন। সেই নেতারা খোলাখুলিই জানিয়েছিলেন, প্রবীণেরা ইস্তফা না দিলে বাড়ি গিয়ে আদায় করবেন। এআইসিসি দফতরে ধর্নাতেও বসেন। কিন্তু তার পরেও কোনও প্রবীণ নেতা ইস্তফা দেননি। গহলৌতের যুক্তি, ‘‘ভোটের ফলের দিনই সকলে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গাঁধীকেই অধিকার দেওয়া হয়েছে বদল কিংবা পুনর্গঠনের।’’
কংগ্রেসের নেতারা দেখতে পারছেন, দলের মধ্যে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাহুলের সরে যাওয়ার ঘোষণার পর আহমেদ পটেল-অশোক গহলৌতদের অক্ষ ফের ক্ষমতার কেন্দ্রে ফিরেছেন। নবীনদের অনেকেই মনে করেন, দল ও রাহুলকে বিপথে চালিত করার পিছনে এই প্রবীণদের ভূমিকাই প্রধান। এখন খড়্গে, শিন্দে, গহলৌতদের কাউকে সভাপতি পদে বসাতে চাইছেন প্রবীণেরা। সে কারণেই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে ক্যাপ্টেন এই গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে বলেছেন, নবীন নেতাদের সভাপতি করতে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy