কানহাইয়া কুমার। ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর হাত ধরেই কানহাইয়া কুমার সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি কানহাইয়াকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং-এর সদস্য’ বলে অভিযোগ করায় কিছু প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এতে আপত্তি ছিল। রাহুল তা কানে তোলেননি। কানহাইয়া এ বার দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুলের ইচ্ছেতেই এই সিদ্ধান্ত। কানহাইয়া রাহুলের সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটেছিলেন। চলতি সপ্তাহেই দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক— নতুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা হতে পারে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ‘টিম’-এ রাহুলের পছন্দের কানহাইয়াকে রাখার পাশাপাশি তাঁর আস্থাভাজন অজয় মাকেন, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এবং গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কুমারী শৈলজারও গুরুত্ব বাড়বে। রাহুলের আস্থাভাজন কে সি বেণুগোপালই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকবেন।
২০১৪ থেকে ধারাবাহিক ভোট পরাজয়ের জেরে গত বছর কংগ্রেসের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি বিভাগ তৈরি হবে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এই বিভাগের গুরুত্ব বুঝে একাধিক নেতা তার চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন। সূত্রের খবর, এআইসিসি-তে বেশ কিছু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বদল হতে পারে। ভোটমুখী রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, এবং দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো ৮টি রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।
হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পরে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই আজ কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছে। সনিয়ার অসুস্থতা ও নতুন করে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের জেরে সবাই মাস্ক পরে বৈঠকে যোগ দেন। নতুন ওয়ার্কিং কমিটিতে খড়্গে, সনিয়া, রাহুল, মনমোহন সিংহ, অধীর চৌধুরী ছাড়া ৩৫ জন সদস্য থাকবেন। গত মাসে রায়পুরে প্লেনারি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভোটাভুটির বদলে সভাপতি খড়্গেই নতুন ওয়ার্কিং কমিটি বেছে নেবেন।
সূত্রের খবর, ওয়ার্কিং কমিটিতে মহিলাদের সংখ্যা বাড়াতে লোকসভা ও রাজ্যসভার একজন মহিলা সাংসদকে ওয়ার্কিং কমিটিতে আনা হবে। সেখানেও ‘রাহুলের পছন্দ’ প্রাধান্য পাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy