Advertisement
E-Paper

কার ছাগল? শেষমেশ শাবককে দুধ খাইয়ে দু’পক্ষের বিবাদ মেটাল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ

ছাগলের বাচ্চাটি কার? এই নিয়ে তুমুল বিবাদ। থানায় বসে দু’পক্ষকে অনেক বুঝিয়েসুঝিয়েও থামাতে পারেননি পুলিশ আধিকারিক। শেষমেশ শাবক ছাগলটিকে দুধ খাইয়ে মেটানো হল বিবাদ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫৭
ছাগল নিয়ে বিবাদ উত্তরপ্রদেশে।

ছাগল নিয়ে বিবাদ উত্তরপ্রদেশে। ছবি: সংগৃহীত।

ছাগলের বাচ্চাটি কার? এই নিয়ে তুমুল বিবাদ। থানায় বসে দু’পক্ষকে অনেক বুঝিয়েসুঝিয়েও থামাতে পারেননি পুলিশ আধিকারিক। শেষমেশ শাবক ছাগলটিকে দুধ খাইয়ে মেটানো হল বিবাদ। মধুরেণ সমাপয়েৎ!

উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। গোয়া গার্ডেনের বাসিন্দা চন্দ্রাদেবীর সাদা ছাগলটি দিন কুড়ি আগে একটি সন্তান প্রসব করেছিল। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল শাবক ছাগলটি। চন্দ্রার স্বামী সুমন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোয়া গার্ডেন মোড়ের কাছে আচমকাই তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান এক মহিলা। নিজেকে মীনা কুমারী বলে পরিচয় দিয়ে তিনি দাবি করেন, ওই শাবক ছাগলটি তাঁদের। এ নিয়ে রাস্তাতেই বচসা শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। সেখানে যান চন্দ্রাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কল্যাণপুর থানার পুলিশও। থানায় নিয়ে যাওয়া হল দু’পক্ষকেই।

পুলিশ জানিয়েছে, থানাতেও বিবাদে জড়ায় দু’পক্ষ। থামানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন ডিউটি অফিসার সুবোধ কুমার। কিন্তু দু’পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড়। শেষমেশ সুবোধ সিদ্ধান্ত নেন, শাবক ছাগলটিকে মায়ের দুধ খাইয়েই এই বিবাদ মেটানো হবে। এর পরেই চন্দ্রা এবং মীনাকে তাঁদের ছাগল নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়। দু’জনেই তাঁদের ছাগল নিয়ে যান থানায়। এর পর চন্দ্রার সাদা ছাগল এবং মীনার কালো ছাগলটিকে বাঁধা হয় থানার সামনের একটি ফাঁকা জমিতে। সিদ্ধান্ত হয়, শাবক ছাগলটিকে সেখানে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেটি যার কাছে যাবে, সে-ই ওই ছাগলটির মা। সেই মতোই শাবক ছাগলটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেখা যায়, সেটি এ দিক-ও দিক ঘুরতে ঘুরতে সাদা ছাগলটির কাছে যায়। দুধও পান করে। যা দেখে হাততালি দিয়ে ওঠেন সকলে। এর পরেই শাবক ছাগলটিকে চন্দ্রার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মীনা বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমাদের শাবক ছাগলটা কয়েক দিন আগে হারিয়ে গিয়েছে। এই ছাগলটাকে দেখে আমাদেরই ছাগল বলে মনে হয়েছিল।’’ চন্দ্রাও বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গেও যদি এ রকম ঘটত, আমিও একই কাজই করতাম।’’

ডিউটি অফিসার সুবোধ বলেন, ‘‘আর কোনও উপায় দেখিনি। আচমকাই এই বুদ্ধিটা মাথায় এসেছিল। সেটা কাজও করল। এটা নিয়ে কোনও মামলা হয়নি। থানায় বসেই সমাধান হয়ে গেল।’’

Uttar Pradesh Lamb Dispute
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy