যত্নে: মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার উদুপিতে। পিটিআই
বিজেপি দূরত্ব রাখলে কী হবে, লিঙ্গায়তেরা পৃথক ধর্মীয় সংখ্যালঘুর তকমা পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নিতে হবে।
লিঙ্গায়ত এবং বীরশৈব লিঙ্গায়তকে পৃথক ধর্মীয় সংখ্যালঘুর তকমা দিতে সুপারিশ করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশে ছ’টি ধর্মকে মুখ্য ধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাকি সব ধর্ম অন্য শ্রেণিভুক্ত। এ ক্ষেত্রে লিঙ্গায়তদের জন্য পৃথক সংখ্যালঘু সংক্রান্ত বিলে কী সংস্থান রয়েছে, তা দেখার পর তাতে সিলমোহর দিতে পারে মন্ত্রক। তবে বিজেপির একাংশ চাইছে, আপাতত বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুক কেন্দ্র। রাজ্যে নির্বাচনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
তবে বিজেপির অন্য অংশ স্বীকার করছে, সিদ্দারামাইয়ার ওই সিদ্ধান্ত কার্যত ‘মাস্টার স্ট্রোক’। কারণ, কংগ্রেস এই বার্তা দিতে পেরেছে যে, লিঙ্গায়তদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে রাহুল গাঁধীরা তাদের পাশে আছেন। এখন কেন্দ্র সেই বিলে ছাড়পত্র দিলে কংগ্রেসের লাভ। না দিলেও বিজেপি লিঙ্গায়ত-বিরোধী বলে প্রচারে নামবে কংগ্রেস। লিঙ্গায়ত নেতা ইয়েদুরাপ্পাকে সামনে রেখে ভোটে লড়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের এ ধরনের প্রচার বাদ সাধবে তাতেও।
হিন্দু ভোটের বিভাজন এড়াতে বিজেপি এ যাবৎ ওই বিতর্কিত বিষয়টি এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু ভোটের দু’মাস আগে কর্নাটকের প্রভাবশালী ওই গোষ্ঠীকে পাশে পেতে কংগ্রেস যে চাল দিয়েছে, তাতে মুখ খুলতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। দলের সভাপতি অমিত শাহ আজ বলেন, ‘‘লিঙ্গায়ত নিয়ে কংগ্রেস জাতপাতের রাজনীতি করছে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রে ও কর্নাটকে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন রাজ্যের ওই প্রস্তাব কেন খারিজ করেছিল কেন্দ্র? কংগ্রেস জবাব দিক।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে হিন্দু সমাজ থেকে লিঙ্গায়তদের বিচ্ছিন্ন করতে এ কাজ করেছে কংগ্রেস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy