কর্নাটকে ‘ভোটচুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সে রাজ্যের আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকা থেকে সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি নাম বাদ গিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস বিধায়ক। সেই সব অভিযোগের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়়ল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার।
সিটের তদন্তে নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (সিআইডি)। এ ছাড়াও দুই পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। তদন্তের রিপোর্ট তাঁরা আদালতে জমা দেবেন। রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছেও।
‘ভোটচুরি’ নিয়ে রাহুলের প্রথম অভিযোগ ছিল, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় ৩৯ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম যোগ হয়। এই সব ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল। এর পরে রাহুল অভিযোগ তোলেন, কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটারের নাম জুড়ে কংগ্রেসকে হারানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাহুল অভিযোগ করেছেন, কর্নাটকেরই আলন্দে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে বেছে বেছে ৬০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কংগ্রেসের ভোটারদের নাম বাদ দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। নাম না বললেও, এর পিছনে বিজেপির মস্তিষ্কই রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন কংগ্রেস নেতা।
রাহুলের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হতে না-হতেই নির্বাচন কমিশনও কার্যত একই ভাষায় বিবৃতি দিয়ে তাঁর অভিযোগকে ‘ভুল ও ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছে। যদিও কমিশন মেনে নিয়েছে, সত্যিই ২০২৩-এ কর্নাটকে বিভিন্ন অ্যাপ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার ৬০১৮টি আবেদন এসেছিল। যার মধ্যে ২৪টি বাদে বাকি সবই ভুয়ো আবেদন ছিল।
এ সবের পরেই আলন্দের কংগ্রেস বিধায়ক বিআর পাতিল পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের আগে ২৫৬টি বুথের ভোটার তালিকা থেকে সব মিলিয়ে ৬,৬৭০ জনের নাম বাদ পড়েছে। কংগ্রেস বিধায়কের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সিট গড়ে তদন্ত শুরু করল কর্নাটক সরকার।