কর্নাটক কংগ্রেসে ডামাডোলের ইঙ্গিত। সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বেশ কয়েক জন বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে গিয়েও একই দাবির কথা তাঁরা জানিয়ে এসেছেন। কংগ্রেস সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। খড়্গের সঙ্গে ওই বিধায়কদের কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল যে, শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ প্রায় ১০ জন বিধায়ক দিল্লির পথে রওনা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী এন চালুভারায়াস্বামীও। যদিও শিবকুমারের দাবি, তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিতই নন। তাঁর শরীরও খুব একটা ভাল নয় বলে জানান তিনি। অন্য দিকে, সফরসূচি কাটছাঁট করে দ্রুত বেঙ্গালুরু ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও, যিনি রাজনৈতিক মহলে সিদ্দা নামেও পরিচিত। শুক্র এবং শনিবার যথাক্রমে কর্নাটকের মাইসুরু এবং চামারাজনগরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই সফর হঠাৎই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের মধ্যে এই চাপানউতর অবশ্য নতুন নয়। ২০২৩ সালের মে মাসে বিজেপিকে হারিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী করা হয় সিদ্দারামাইয়াকে। আর উপমুখ্যমন্ত্রী হন শিবকুমার। সেই সময় শোনা গিয়েছিল, আড়াই বছর পর শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। যদিও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই বলা হয়নি। কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সে কারণেই তাঁকে সরিয়ে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তোলা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিদ্দারামাইয়ার অবশ্য দাবি, তিনিই পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। এই বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার জল্পনা কিছুটা উস্কে দিয়েছিলেন শিবকুমার নিজেই। তিনি কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি এই পদ তো চির দিন ধরে রাখতে পারি না। সাড়ে পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। আগামী মার্চে ছ’বছর হয়ে যাবে।’’ তবে কি পদত্যাগের কথা ভাবছেন? সে সব আর তিনি খোলসা করেননি।