প্রতীকী ছবি।
টয়লেটে ফ্লাশ টানা নিয়ে বচসার জেরে হস্টেলে তাঁর রুমমেটের হাতেই বেঘোরে প্রাণ হারালেন কর্নাটকের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র।
পুলিশ জানাচ্ছে, তখন রাত এগারোটা। প্রচণ্ড নেশা করে ঘরে ঢোকেন রবীশ নামে এক ছাত্র। এসেই সোজা চলে যান টয়লেটে। কিন্তু টয়লেটে গিয়ে ফ্লাশ না টেনেই বেরিয়ে আসেন। সেই সময় তাঁর এক রুমমেট রোহিত তাঁকে বলেন টয়লেটে গিয়ে ফ্লাশ টেনে দিয়ে আসতে। না হলে ঘরে দুর্গন্ধ আসছে। রবীশ তাতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয়ে যায় বচসা। ঝগড়া থেকে হাতাহাতি। ঝামেলা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় যে, সেই সময় রবীশ ছুরি দিয়ে রোহিতকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আরেক রুমমেট ছুটে এসে তাঁদের ছাড়াতে চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। রোহিতকে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ছেলে সন্তানের জন্য ভাইকে নিয়োগের চাপ, স্বামীকে খুনই করে ফেললেন স্ত্রী
কর্ণাটকের মাগাডি তালুকের সোলুর গ্রামের ছেলে রোহিত ইস্ট ওয়েস্ট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যাঁর ছুরির ঘায়ে তিনি মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই রবীশ বিজয়নগরের গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ জানাচ্ছে, রোহিত, রবীশ ও আরও কয়েক জন ছাত্র হস্টেলের একই রুমে থাকতেন। সেই সনয় টয়লেটে ফ্লাশ টানা নিয়ে রোহিত এবং রবীশের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর পরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক কাণ্ড। হস্টেল সুপার জানিয়েছেন, এমন সামান্য কারণে কেউ যে কাউকে খুন করতে পারে, এমনটা কল্পনাও করা যায় না। রোহিতকে বাঁচানোর চেষ্টা করে জখম হন অমরেশ নামে আরেক রুমমেট। তিনি জানান, হঠাৎ করে রবীশ এই কাণ্ড কেন ঘটালো, তা জানা নেই।
রবীশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy