আশঙ্কাই সত্যি হল। গত ১০-১২ দিনের স্নায়ুযুদ্ধের পরও কর্নাটকে সরকার টিকিয়ে রাখতে পারলেন না কুমারস্বামী। বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ফলে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন হল কর্নাটকে। এ বার নতুন করে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আজ সন্ধ্যা ছ’টায় আস্থা ভোট নেওয়া হবে, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পিকার। সেই মতো আস্থা ভোট হয়। স্পিকার জানিয়ে দেন, ৯৯ ভোট গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে। অন্য দিকে বিজেপির পক্ষে গিয়েছে ১০৫ ভোট।
এ মাসের গোড়ার দিক থেকেই একের পর এক জেডিএস এবং কংগ্রেসের বিধায়করা ইস্তফা দিতে শুরু করেন। দু’দল মিলিয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ জন। এর সঙ্গে দুই নির্দল বিধায়কও ইস্তফা দেন। তাঁরাও কুমারস্বামী সরকারকে সমর্থন করেছিলেন। কর্নাটক বিধানসভায় মোট আসন ২২৫। তার মধ্যে জোটের পক্ষে ছিল ১১৮ জন। ১৮ জনের ইস্তফা দেওয়ায় জোটের পক্ষে বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০। এই পরিস্থিতি বিজেপি শিবিরের প্রধান তথা বিরোধী দলনেতা ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপি যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু করেন, তখনই পাল্টা চালে নিজেই আস্থা ভোটে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন কুমারস্বামী। সেটা ছিল ১২ জুলাই।