মন্দিরে তাণ্ডব গ্রামবাসীদের। ছবি:সংগৃহীত।
মন্দিরে পুজো দেওয়াকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কর্নাটকের কোপাল জেলার কুশতাগি তালুকের দোতিহাল গ্রাম। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় গ্রামবাসীদের। এই ঘটনায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতি বছরই দোতিহাল গ্রামের এক মন্দিরে এই সময় পুজো হয়। কিন্তু এ বছরে করোনা সংক্রমণের জেরে আয়োজনের উপর কিছুটা রাশ টানে জেলা প্রশাসন। পুজোয় অনুমতি দিলেও বিপুল জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, পুজো মন্দিরের ভিতরেই হবে এবং খুব অল্প সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতেই তা করতে হবে।
শুক্রবার পুজো শুরু হতেই বিপত্তি বাধে। মন্দিরের দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্দিরের মূল গেট বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। তাতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা গেট খোলার দাবি জানাতে থাকেন। অভিযোগ, মন্দির কর্তৃপক্ষ গেট খুলতে অস্বীকার করলে হামলা চালান গ্রামবাসীরা। গেট ভেঙে মন্দিরের ভিতর ঢুকে পড়েন তাঁরা। মন্দিরের ভিতরে হামলা চালিয়ে তাঁরা বিগ্রহ-সহ রথ ছিনিয়ে বাইরে বার করে নিয়ে আসেন।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশে খবর দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। এর পরই উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কোপাল জেলার পুলিশ সুপার জি সঙ্গীতা। বাকি হামলাকারীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১৮ মাসে ৮ সন্তানের মা হয়েছেন, অথচ নিজেই জানলেন না ৬৫ বছরের বৃদ্ধা!
এই ঘটনার পর থেকেই পুরুষশূন্য দোতিহাল গ্রাম। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পুরুষরা গ্রামে ফিরলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্নাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy