কর্নাটকের গোয়েন্দাপ্রধান হেমন্ত নিম্বলকরকে বদলির নির্দেশ দিল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার অফিস। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পদপিষ্টের ঘটনার জেরেই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু হেমন্ত নন, সিদ্দারামাইয়ার রাজনৈতিক সচিব কে গোবিন্দরাজকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। একই দিনে পুলিশ এবং প্রশাসনের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল সিদ্দারামাইয়া সরকার।
বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও অনেকে। এই ঘটনার দায় কার, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা। সরকারের তরফে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এবং কর্নাটকের স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দকে সাসপেন্ড করেছেন। সাসপেন্ড করা হয়েছে পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তাকে। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আরসিবি এবং কেএসসিএ কর্তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিপর্যয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনছে কর্নাটক হাই কোর্ট। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। সেখানেই কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে। কাউকে রেয়াত করা হবে না, আদালত জানিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবারই কেএসসিএ-র সচিব এবং কোষাধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। যদিও দু’জনের কেউই নিজেদের বাড়িতে ছিলেন না। তাঁদের সন্ধান শুরু হয়েছে। এই আবহেই শুক্রবার রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপণন বিভাগের প্রধানকে (মার্কেটিং হেড) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও বুধবারের অনুষ্ঠানের ‘ইভেন্ট ফার্মের’ তিন জন আধিকারিক কিরণ, সুমন্ত এবং সুনীল ম্যাথিউকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা।