বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছে, তা চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কর্নাটক হাই কোর্টে পাল্টা মামলা করল কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)। রাজ্য ক্রিকেটের শীর্ষকর্তারা এই ঘটনায় গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। পুলিশ তাঁদের খুঁজছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁদের খোঁজ মিলছে না। এই আবহে শুক্রবার রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপণন বিভাগের প্রধানকে (মার্কেটিং হেড) গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেই এফআইআরকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করল কেএসসিএ। শুক্রবারই এই মামলার শুনানি হবে।
কেএসসিএ-র প্রেসিডেন্ট রঘুরাম ভাট, সেক্রেটারি এ শঙ্কর এবং কোষাধ্যক্ষ ইএস জয়রাম শুক্রবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পদপিষ্টের ঘটনায় বেঙ্গালুরুর কব্বন পার্ক থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে এই তিন কর্তারই নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। মূল অভিযোগ অপরাধমূলক অবহেলা। এই পরিস্থিতিতে ঘটনার পর থেকেই শঙ্কর এবং জয়রামের খোঁজ করছে পুলিশ। বাড়িতে তাঁদের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করে দিয়েছেন। সাসপেন্ড করা হয়েছে পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তাকে। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আরসিবি এবং কেএসসিএ কর্তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিপর্যয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনছে কর্নাটক হাই কোর্ট। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। সেখানেই কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে। কাউকে রেয়াত করা হবে না, আদালত জানিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। এ বার কেএসসিএ আদালতে পাল্টা মামলা করল।