মোবাইলের একটি চার্জার। সেই চার্জারের সূত্র ধরেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সাহায্যকারীকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিযোগের সন্দেহে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মহম্মদ ইউসুফ কাটারি। তদন্তে উঠে এসেছে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে চার বার দেখা করেছিলেন তিনি। অ্যানড্রয়েড মোবাইলের একটি চার্জারও তিনি জঙ্গিদের দিয়েছিলেন। সেই চার্জারই এ বার ধরিয়ে দিল কাটারিকে।
গত মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলায় এক বিশেষ অভিযানে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষকতাও করতেন কাটারি। একই সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের ‘ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ (যে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গিদের সাহায্য করেন, তাঁদের ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা ওজিডব্লুউ বলা হয়) হিসাবে কাজ করতেন তিনি। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জঙ্গি— সুলেমান ওরফে আসিফ, জিবরান এবং হামজ়া আফগানিকে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, পুলিশি জেরায় কাটারি স্বীকার করেছেন যে তিনি ওই তিন জঙ্গির সঙ্গে চার বার দেখা করেছিলেন। শ্রীনগরের কাছে জ়াবরওয়ান পাহাড়ে তাঁদের দেখা হত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন কাটারি। বস্তুত গত জুলাই মাসে এই এলাকাতেই ‘অপারেশন মহাদেব’ চলাকালীন তিন জঙ্গিকে হত্যা করে ভারতীয় সেনা। পিটিআই অনুসারে, জঙ্গিনিধন অভিযানের পরে ওই এলাকা থেকে বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করেন সেনা জওয়ানেরা। পাওয়া যায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি মোবাইল চার্জারও। ওই চার্জারের মালিকের খোঁজ করতে করতে কাটারির নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালায় লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। তাতে ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযান আরও জোরদার করেছে সেনা। পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে দীর্ঘ দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পরে গত জুলাই মাসে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ তিন জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা।