Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kerala High Court

পুজো এবং উৎসবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নয়, গেরুয়া রং নিয়ে বিতর্কে রায় কেরল হাই কোর্টের

আদালত জানায়, পুজোআচ্চার অধিকার যে কোনও ব্যক্তির অধিকারের মধ্যে পড়ে। এবং প্রচলিত বিশ্বাসের উপর কেউ যদি কোনও বিশেষ পতাকা ব্যবহার করতে চান, তাতে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।

Kerala High Court has held that politics has no role to play of daily worship and temple festivals

দৈনিক পুজোআচ্চা, মন্দিরে কোনও উৎসবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকা উচিত নয়। বলল, কেরল হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
কোচি (কেরল) শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৮
Share: Save:

দৈনিক পুজোআচ্চা, মন্দিরে কোনও উৎসবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকা উচিত নয়। গেরুয়া রঙের পতাকা টাঙানো নিয়ে বিতর্কে রায় দিল কেরল হাই কোর্ট। বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রন এবং বিচারপতি পিজি অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোনও বিশেষ রঙের ব্যবহার নিয়ে যাঁরা পুজো করেন এবং যাঁরা প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন, কারও কোনও অবস্থান থাকতে পারে না। যে কেউই যে কোনও রঙের জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। তাই কেউ গেরুয়া কিংবা কমলা রঙের পতাকা মন্দিরে ব্যবহার করবেন কি না, তা নিয়ে কেউ কোনও রকম জবরদস্তি করতে পারেন না।

বিতর্কের সূত্রপাত বেশ কিছু দিন আগে। কেরলের ত্রিভানকোর দেবশ্বরম বোর্ড বা টিডিআরের তত্ত্বাবধানে থাকা তিরুঅনন্তপুরমের একটি মন্দিরে অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজানোর কাজ চলছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই মন্দির কর্তৃপক্ষের কয়েক জন অভিযোগ করেন, তাঁদের গেরুয়া পতাকা, ফেস্টুন ইত্যাদি ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। মন্দির প্রাঙ্গণে একরঙা জিনিসের বদলে বিভিন্ন রঙের পতাকা এবং ফেস্টুন ব্যবহার করতে বলা হয়। এর পরই মামলা হয় হাই কোর্টে। আদালত জানায়, পুজোআচ্চার অধিকার যে কোনও ব্যক্তির অধিকারের মধ্যে পড়ে। এবং প্রচলিত বিশ্বাসের উপর কেউ যদি কোনও বিশেষ পতাকা ব্যবহার করতে চান, তাতে রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আবার একই ভাবে কোনও বিশেষ রঙে কোনও মন্দির কর্তৃপক্ষ কিংবা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একচেটিয়া অধিকার থাকতে পারে না। তেমনই পুলিশ প্রশাসনও কোনও ‘রাজনৈতিক নিরপেক্ষ’ রং বেছে দিয়ে বলতে পারে না যে, ওটাই ব্যবহার করতে হবে।

মন্দির কর্তৃপক্ষের উল্টো দিকে পুলিশ প্রশাসন পাল্টা আবেদনে আদালতে জানায় যে, তারা জেলাশাসকের নির্দেশ মতো কাজ করেছিল। তাদের উপর নির্দেশ ছিল, মন্দিরের ধারে রাস্তার দু’পাশে যত রকম ধর্মীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন আছে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে। দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা পদক্ষেপ করে। অন্য দিকে, লিখিত হলফনামায় অভিযোগ করা হয় যে, কেরলের শাসক দলের নির্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে পুলিশ। মন্দিরের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kerala High Court CPIM Safron color
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE