গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
স্ত্রীর সঙ্গে আর এক ছাদের নীচে থাকেন না স্বামী। তার মধ্যে সন্তানের নামকরণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বচসা চলছিল দম্পতির। তাই নিয়ে মামলা হয় কেরল হাই কোর্ট। অবশেষে সেই ছেলের নাম রাখল আদালত। কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি বেচু কুরিয়ান টমাসের পর্যবেক্ষণ, ‘‘বাবা-মায়ের দৈনন্দিন ঝগড়া, অশান্তি যেন শিশুটির জীবনে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।’’ আদালত জানায়, প্রত্যেক মানবশিশুর নাম জরুরি। যে হেতু ছেলেটির নাম দেওয়া হয়নি, আদালতই তার নামকরণ করছে।
স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হয় না। স্বামী অন্যত্র থাকেন। দম্পতি একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তা এখনও চলছে। কিন্তু স্ত্রী ছেলের যে নাম রাখতে চান, তা কিছুতেই রাখতে চান না স্বামী। আবার স্বামীর রাখা নাম স্ত্রীর পছন্দ নয়। এই অবস্থায় শিশুটির কোনও নামকরণ হচ্ছিল না। কিন্তু সরকারি শংসাপত্রের জন্য নাম তো জরুরি। এই অবস্থায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিশুটির মা। মামলার শুনানিতে আদালত বলে শিশুর কল্যাণ, তার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তথা সামাজিক নিয়মের জন্য এবং বাবা-মায়ের স্বার্থের কথা ভেবে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নামের অভাবে শিশুটি স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। হাই কোর্টে শিশুটির মা জানান, পুত্রের নাম তিনি রেখেছিলেন ‘পুণ্য’। ওই নামে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র তৈরির আবেদন জানান তিনি। অন্য দিকে, আদালত জানতে পারে শিশুটির বাবা তার নাম রাখতে চান ‘পদ্ম’। সব পক্ষের সওয়াল শোনার পর আদালত শিশুটির নাম রাখে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, সরকারি সার্কুলার এবং বিভিন্ন উদাহরণ টেনে আদালত বলে মায়ের প্রস্তাবিত নামটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। তার পর মায়ের দেওয়া ‘পুণ্য’ নামটিই চূড়ান্ত করেন বিচারপতি। আর শিশুটির পদবি হচ্ছে তার বাবার দেওয়া নাম। অর্থাৎ, শিশুটির নাম হয় পুণ্য পদ্ম।
আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে শিশুটির নাম আদালতের নির্দেশ মতো সরকারি শংসাপত্রে প্রতিফলিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy