মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করল আদালত। ফাইল চিত্র।
রাস্তার কোনায় কোনায় মসজিদ গড়ার কথা লেখা নেই কোরানে। মামলাকারীদের এ ভাষাতেই ভর্ৎসনা করে মসজিদ তৈরির আবেদন খারিজ করল কেরল হাই কোর্ট। বিচারপতি কুনহিকৃষ্ণণের বেঞ্চ বলে, ‘‘কেরল ধর্মীয় স্থানে পরিপূর্ণ। এ জন্য রাজ্যকে ‘ঈশ্বরের দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়।’’ আদালতের সংযোজন, “এমনিতেই রাজ্যে জনসংখ্যা বাড়ছে। এমতাবস্থায় রাস্তার কোনায় কোনায় ধর্মীয় স্থানে গড়ে তোলার যৌক্তিকতা নেই।”
একটি বাণিজ্যিক ভবনকে মসজিদে রূপান্তরের আবেদন নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। এলাকার মুসলিম জনগোষ্ঠী যাতে নমাজ পড়তে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে এই উদ্যোগ বলে আবেদনে জানানো হয়। আগেই এই আবেদন খারিজ করেছিলেন জেলাশাসক। তিনি যুক্তি দেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৬টি মসজিদ রয়েছে। আরও একটি মসজিদের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। একই কথা বলেছে আদালতও। সেই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, “যে ভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, তার তুলনায় হাসপাতালের সংখ্যা নগণ্য।”
রায়দানের সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘একের পর এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রার্থনা কেন্দ্রে ভরে উঠেছে কেরল। যদি হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান, ইহুদি, পার্সি— প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী তাঁদের বাসস্থানের কাছে ধর্মীয় স্থান নির্মাণ শুরু করেন, তবে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ-সহ গুরুতর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়বে।’’ আদালত জানায়, গোয়েন্দা এবং পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি ওই বাণিজ্যিক ভবনটিকে বর্তমানে ধর্মীয় স্থানে রূপান্তর করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাতে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরেই মসজিদ তৈরির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy