ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি করানোর জন্য ফি জোগাড় করে উঠতে পারছিল না পরিবার। ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে না পারার যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের পতনমতিত্ত জেলায়। রবিবার রাতে একটি জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৪৭ বছর বয়সি ভিটি শিজোর ঝুলন্ত দেহ।
পরিবার সূত্রে খবর, শিজোর ছেলে তামিলনাড়ুর এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেই কলেজে ভর্তির ফি জোগাড় করতে পারছিলেন না শিজো। বিগত বেশ কয়েক বছর চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আইনি জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকেই শিজোর স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশে নিয়োগ পান তিনি। বেতন-সহ ১২ বছরের এরিয়ার (বকেয়া বেতন) পাওয়ার কথা ছিল শিজোর স্ত্রীর। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন পাওয়া শুরু হয়। তবে প্রশাসনিক গাফিলতির ফলে ১২ বছরের বকেয়া বেতন পেতে দেরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারাই জঙ্গলের মধ্যে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন স্থানীয় থানায়। খবর যায় পরিবারের সদস্যদের কাছেও। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন ওই শিজো। দেহটি ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পরে স্থানীয় বাসিন্দা, মৃতের পরিবার এবং আত্মীয়দের বয়ান ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। তাতে পুলিশের সন্দেহে আর্থিক সঙ্কট এবং ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি না করাতে পারার যন্ত্রণা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিজো।