উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন কেরলের এক বাসিন্দা। কিন্তু মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। মনোনয়নপত্রে বাকি সব ঠিক থাকলেও গোল বাধে তাঁর সমর্থনে ২২ জন সাংসদের নাম এবং স্বাক্ষর দেখে। খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ওই সাংসদদের নাম ব্যবহার করে তাঁদের স্বাক্ষর জাল করেছেন কেরলের ওই প্রার্থী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
কেরলের বাসিন্দা জোমন জোসেফ উপরাষ্ট্রপতি পদে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হলে প্রার্থীর সমর্থনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার কয়েক জন সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোসেফ সংসদের দুই কক্ষের ২২ জন সাংসদের নামে জাল স্বাক্ষর করে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। ওই ব্যক্তি যে সব সাংসদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলেই জানান। তার পরই জোসেফের মনোনয়ন বাতিল হয়।
গত ২১ অগস্ট মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় জোসেফের কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, উপরাষ্ট্রপতি পদে লড়াইয়ের জন্য ৪৬ জন প্রার্থী মোট ৬৮টি মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রাথমিক পর্যায়েই ১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ২২ অগস্ট বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। শেষ পর্যন্ত এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির মনোনয়নপত্রই বৈধ হিসাবে গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন:
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। কেন তিনি হঠাৎ ইস্তফা দিলেন, তাঁর শারীরিক সমস্যা কতটা গুরুতর, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নও উঠেছিল। এরই মধ্যে পরের দিনই তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়ে যায়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই পদে নির্বাচন হবে। জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দিনই জানানো হবে।