তিনি লন্ডনে নার্সের কাজ করতেন। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে কাজে ইস্তফা দিয়ে পাকিপাকি ভাবে ভারতে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই প্রস্তুতিও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। দিন কয়েক আগেই কেরলে এসেছিলেন বছর চল্লিশের রঞ্জি জি নায়ার। নিজের রাজ্যে ফিরে কোথায় থাকবেন, তা ঠিক করতেই তিনি এসেছিলেন। পরিবার এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। নতুন বাড়ি কিনবেন, সেটাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
রঞ্জিতার এক বান্ধবী ধন্যা টি নায়ার বলেন, ‘‘ রঞ্জিতা আমার জীবনের সব কিছু ছিল। ওর মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমাকে বলেছিল লন্ডনে আর বেশি দিন কাজ করবে না। কারণ ওখানে আবহাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছে না। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তাই পাকাপাকি ভাবে কেরলে ফিরে আসার বন্দোবস্ত করতেই বাড়িতে এসেছিল রঞ্জিতা।’’
কেরলের পাথানামথিত্তার বাসিন্দা রঞ্জিতা ২০১৯ সালে নার্সের চাকরি শুরু করেন করেন রঞ্জিতা। দেশের বাইরে ছিলেন। সেই কাজ করতে করতেই তাঁর কাছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে লন্ডনে কাজ করার প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে সেখানে চাকরি করাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আত্মীয়দের সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, লন্ডনের ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই কেরলে ফিরে আসতে চাইছেন। রাজ্যে ফিরে সরকারি হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন।
একটি জমি কিনে বাড়িও বানাচ্ছিলেন রঞ্জিতা। সেখানেই দুই সন্তান এবং মাকে নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওনাম উৎসবের আগে ফিরে আসার কথা ছিল। তাই লন্ডনে নার্সের কাজে ইস্তফা দেওয়া এবং বাকি কাজের পাট চুকিয়ে দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিতার। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় বিমানযাত্রী, পাইলট, ক্রু সদস্য-সহ মোট ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।